পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ৫জি এখনো পুরোপুরি চালু হয়ে পারেনি, তার আগেই ৬জি নিয়ে কাজ শুরু করেছে দক্ষিণ কোরীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডার জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে নিজেদের গবেষণা টিম আরও বিস্তৃত করেছে স্যামসাং। একই সঙ্গে ৬জির জন্য অ্যাডভান্সড কমিউনিকেশনস রিসার্চ নামে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্যামসাংয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির এই দলটি ৬জি নিয়ে কাজ করবে। ৬জির প্রভাব কেমন হবে, সম্ভাবনা কতটুকু, প্রাথমিকভাবে সেসব নিয়ে কাজ করা হবে। পরবর্তীতে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
বিশ্বের কয়েকটি দেশের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে ইতিমধ্যে ৫জি চালু হয়েছে। তাও আংশিকভাবে। প্রযুক্তি জগতে এই নেটওয়ার্ক নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কোনো দেশের জাতীয় তথ্য কিংবা পরিবেশের ভারসাম্য এই নেটওয়ার্কের অধীনে কতটা ঠিক থাকবে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
স্যামসাংয়ের আগে উত্তর ফিনল্যান্ড ৬জি নিয়ে গবেষণা শুরু করতে চাওয়ার কথা জানায়। তারা ২৫১ মিলিয়ন ইউরো এই গবেষণার পেছনে ব্যয়ের চিন্তা করছে।
ওই প্রজেক্টের প্রধান কর্মকর্তা চলতি বছরের শুরুতে বলেন, ‘৫জির সব সক্ষমতা এবং প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে ৬জি। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সহজ হবে।’
তিনি মনে করেন ৬জির অধীনে ১টিবিপিএস গতি সরবরাহ করা সম্ভব হবে!
দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৯ সালে পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে ৫জি নেটওয়ার্কের মোবাইল বাজারে ছাড়ে। নিজেদের দেশে এই নেটওয়ার্ক তারা পুরোপুরি চালু করার পথে রয়েছে।
৫জি ও ৬জির ধারণা: আলোচিত এই নেটওয়ার্ককে মূলত মোবাইল ফোনের পঞ্চম/ষষ্ঠ জেনারেশনের ইন্টারনেটকে বোঝায়, যেখানে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট তথ্য ডাউন লোড এবং আপলোড করা যাবে। যার সেবার আওতা হবে ব্যাপক।
এটা আসলে রেডিও তরঙ্গের আরো বেশি ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং একই সময় একই স্থানে বেশি মোবাইল ফোন ইন্টারনেটের সুবিধা নিতে পারবে।
বর্তমানের ৪জি প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক গড়ে সর্বোচ্চ ৪৫ এমবিপিএস গতি সুবিধা দিতে পারে। চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়ালকম বলছে, ৫জি এর ১০ থেকে ২০গুণ গতি দিতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি ভালো মানের চলচ্চিত্র হয়তো মাত্র এক মিনিটেই ডাউন লোড করা যাবে।
বেশিরভাগ দেশ ২০২০ সাল নাগাদ ৫জি সেবা চালু করতে চায়। তবে কাতারের ওরেডো কোম্পানি জানিয়েছে, তারা এর মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে সেবাটি চালু করেছে।
সামনের বছর পুরোপুরি ৫জি চালু করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। ২০১৯ সালে এই সেবা চালু করতে চায় চীনও।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৪জি চালু আছে। ৫জি কবে চালু হতে পারে সেটি নিশ্চিত নয়।