কারিগরি ত্রুটির কারণে উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টারও কম সময় হাতে থাকতে থামিয়ে দেয়া হয়েছে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান।
বিবিসি জানিয়েছে, চন্দ্রযান-২ নামে ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ভারতের এই চন্দ্র মিশনটি ভারতের স্থানীয় সময় রোববার দিবাগত রাত ২টা ৫১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ২১ মিনিট) দেশের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত শ্রী হরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে যাত্রা করার কথা ছিল।
কিন্তু উৎক্ষেপণের মাত্র ৫৬ মিনিট বাকি থাকতেই উল্টো গণনা বা কাউন্টডাউন বন্ধ করে দেয়া হয়। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আইএসআরও জানিয়েছে, মহাকাশযানটির লঞ্চ ভেহিকল সিস্টেমে ত্রুটি ধরা পড়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয়া হয়।
এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিওসিংক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (GSLV) মার্ক থ্রি বা ‘বাহুবলী’। সেটিরই কোনো একটি অংশের কারিগরি প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
উৎক্ষেপণের নতুন তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে মহাকাশ সংস্থাটি।
ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান চন্দ্রযান-২’র নেতৃত্বে থাকছেন দুই নারী বিজ্ঞানী। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো নারী নেতৃত্বে চন্দ্রাভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ভারত।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, চন্দ্রযান-২ নামে এই মিশনের নেতৃত্ব দেবেন ভনিথা মুঠায়া এবং রিতা কারিধাল। ভনিতা হচ্ছেন চন্দ্রযান-২ এর প্রকল্প পরিচালক এবং রিতু হচ্ছেন মিশন পরিচালক।
তারা ছাড়াও চন্দ্রযান-২’র অভিযানকে সফল করতে দলে রয়েছেন প্রায় ৩০ জন নারী। এই অভিযানে পিছিয়ে নেই পুরুষরাও। নারীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করবেন তারা।
উৎক্ষেপণের পর সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করলে এটিই হবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা প্রথম মহাকাশযান।
আর ভারত হবে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের পিঠে মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রিত অবতরণ (সফট ল্যান্ডিং) করানো চতুর্থ দেশ। এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এ কাজে সফল হয়েছিল।
চন্দ্রযান-২ মূলত চাঁদের পৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ করবে। সেখানে পানি ও খনিজের অস্তিত্ব খোঁজা এবং ভূমিকম্প পরিমাপসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে মিশনটির।