আগামী ৫০, ৬০ বছর পর বা ৭০ বছর পর নিজের চেহারা দেখতে কেমন হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সামাজিক যোগযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
আবার কেউ ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ছবি পোস্ট করে জুড়ে দিচ্ছেন ফেসঅ্যাপ লেখাযুক্ত হ্যাশ ট্যাগ। যারা অ্যাপটি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে নিজেকে দেখতে কেমন লাগবে তা জানার চেষ্টা করছেন, তাদের অধিকাংশই বিনোদন নিতে এমনটি করছেন। তবে এই ফেসঅ্যাপটি সম্পর্কে কিছু বিষয় জানা জরুরি এর ব্যবহারকারীদের।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এবং কিছু ফিল্টার ব্যবহার করে ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীর চেহারা দেখতে কেমন হবে তা জানিয়ে দেয় এই ফেসঅ্যাপ। অ্যাপটি তৈরি করেছে রাশিয়ান কোম্পানি ওয়ারলেস ল্যাব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অ্যাপ বিনা কারণে ভাইরাল হয় না। এর পেছনে কোনো না কোনো কারণ থাকে যা লেখা থাকে এটির প্রাইভেসি পলিসিতে। এই স্থানে লেখা থাকে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কী কী তথ্য সংগ্রহ করবে এবং এসব তথ্য কিভাবে ব্যবহার করা হবে।
আশঙ্কার কথা এই যে, অধিকাংশ ব্যবহারকারী এসব অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা রাখে না। ফলে তাদের তথ্য বেহাত হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়।
ফেসঅ্যাপটি তাদের প্রাইভেসি পলিসিতে জানিয়েছে, তারা ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস, ব্রাউজারের কুকিস, লগ ফাইল, ডিভাইসের বিভিন্ন তথ্য এবং অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
একই সঙ্গে ব্যবহারকারী কোন ওয়েব পেজ ব্রাউজ করেছে, ব্রাউজারে থাকা অ্যাডঅন সংক্রান্ত তথ্যও নিয়ে থাকে এই অ্যাপটি।
প্রাইভেসি পলিসিতে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তারা ব্যবহারকারীর এসব তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর বা বিক্রি করে না। এ ধরনের দাবির কথা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনেক আগে থেকেই করে আসছিল। সম্প্রতি ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)।