ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে আগামী দিনের ডিজিটাল পৃথিবীর নেতৃত্বের উপযোগী করে গড়ে তুলতে জনবান্ধব প্রশাসন অপরিহার্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রশাসনকে সরকার মানুষের কাছে নিতে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত ২৭শত ৬০টি ডিজিটাল সেবার মধ্যে ৯শতটি সরকারি সেবা জনগণকে সরাসরি দিতে হবে। জনগণকে ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে শৈথিল্য প্রদর্শনের কোন সুযোগ নেই।
মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ডাক অধিদপ্তর মিলনায়তনে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস -২০১৯ উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ^াস সভাপতিত্ব করেন।
সরকারে যারা কাজ করেন, তারা জনগণের সেবক জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে জাতির পিতার ভাষণের এই উদ্ধৃতি তুলে ধরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে বিনা ভোগান্তিতে এবং সহজে সরকারি সেবা পান সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান দৃরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ যুগান্তকারি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
মন্ত্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুপার হাইওয়ে নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বলেন, এই বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকেও ডিজিটাল হতে হবে। এই ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবন্ধতা থাকতে পারে কিন্তু ডিজিটাল যুগে বাস করে এনালগ থাকার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদ্ষ্টো জনাব সজীব আহমেদ এর দক্ষ নেতৃত্বে দেশে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জনপ্রশাসনে শতভাগ ডিজিটাল যাত্রার সাথে আপসের কোন সুযোগ নেই। সামনের দিন গুলো অতীতের মত যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাল প্রদ্ধতিতে দিতে হবে ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নিজ বিভাগের কর্মকর্তাদের আগামী দিনের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল যুগে নতুন আরেকটি যুগ শুরু হয়েছে আর তা হলো বাংলাদেশ ফাইভ-জিতে যাচ্ছে। সামনের দিনের প্রযুক্তি একটি নতুন সভ্যতার সুযোগ দিবে। প্রযুক্তি আসবে – বদলাবে –- রূপান্তরিত হবে। আমাদের দায়িত্ব ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তাদের উপযোগী দেশ গড়ে তোলা মন্ত্রী বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাৎ হোসেন ও মো. আজিজুল ইসমান এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক জনাব সুধাংশু সেখর ভদ্র বক্তৃতা করেন।