শনিবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক পরিদর্শন শেষে নামফলক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক এমপি। এর আগে ওই পার্কের নাম ছিল হাইটেক পার্ক সিলেট। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক করা হয়। একই সময় পার্কের ভেতরে নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রীরা।
নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন খুবই উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এই হাই-টেক পার্কে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিসহ বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ হবে; যা এ অঞ্চলের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তনে অসামান্য অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, বর্তমান সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেক্টর হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। তথ্য প্রযুক্তি মানুষের সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতা সৃষ্টিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি আশা করি। তাছাড়া প্রকল্প সিলেট শহর থেকে ২৫ কিমি., এয়ারপোর্ট থেকে ২০ কিমি. ও নতুন রেলস্টেশন থেকে মাত্র ২৮ কিমি. দূরে হওয়ায় বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিক্যাল কলেজ ও সিলেট এমসি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। মূলত তাদের কথা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জন্য একটি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সিলেটবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে সিলেটকে একটি প্রযুক্তি নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বলেন, আমরা ১৬২ দশমিক ৮৩ একরের বেশি জায়াগা নিয়ে এই পার্ক গড়ে তুলেছি। অচিরেই আরও ৬৪০ একর জমি এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমরা আইটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই পার্কের ভেতরেও আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মেস্তাফিজুর রহমান পিএএ, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, দফতর বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।