ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক এবং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল জাতি বিনির্মাণের চলমান সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের সাথে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও সৃদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠায় সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশে মরক্কো দূতাবাস আয়োজিত দেশটির ২০তম জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মজিদ হালিম বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড, গওহর রিজভী,বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্নসরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন ট্রেডবডির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশ ও মরক্কো ভ্রাতৃপ্রতীম দুটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশকে বিশ্বের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশসমূহের মধ্যে মরক্কো অন্যতম। মরক্কোকে বাংলাদেশের এক পরীক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধু আখ্যায়িত করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালের ১৩ জুলাই মরক্কো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে ঐতিহাসিক সম্পর্কের যাত্রার সূচনা করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মরক্কোর মধ্যে আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গির মিল রয়েছে। একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ, জ্ঞান-ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশই সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, উভয় দেশই শান্তি প্রতিষ্ঠা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য নিবেদিত। কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও মরক্কোর মধ্যে অর্থবহ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার বিশাল সুযোগ রয়েছে বলে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যারের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে যা উভয় দেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মরক্কো জাতিসংঘ, ন্যাম এবং ওআইসিসহ বহুপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্লাটফর্মে সহমত এবং সহ-অবস্থানসহ অভিন্ন চিন্তা-ভাবনার স্বাক্ষর রাখছে – যা পারস্পরিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন প্রেক্ষিত বর্ণনা করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা রোবটিক অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার উন্নত দেশের প্রেক্ষিত বাংলাদেশ কিংবা মরক্কোর সাথে এক হবে না। আগামী দিনের প্রযু্িক্তর অভাবনীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মরক্কো এবং বাংলাদেশ এক সাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে গত দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকের তুলনামূলক চিত্র বর্ণনা করে বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি অনিবার্য।