চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রি আড়াই শতাংশ কমতে পারে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গার্টনারের মতে, স্মার্টফোন বিক্রি কমার হার এটাই হবে সর্বোচ্চ।
গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে পিসি, ট্যাবলেট ও মোবাইল ফোন মিলিয়ে মোট ২২০ কোটি ডিভাইস বাজারে ছাড়া হবে, যা গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম। তবে ডিভাইসের বাজারে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মোবাইল ফোন বাজারের। স্মার্ট ও ফিচার ফোন মিলিয়ে মোবাইল ফোনের বাজার দখল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যেতে পারে।
গার্টনারের গবেষণা পরিচালক রঞ্জিত আতওয়াল বলেন, বর্তমান মোবাইল ফোন বাজারের শিপমেন্ট ১৭০ কোটি ইউনিট, যা ২০১৫ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। মোবাইল ফোনে যদি গুরুত্বপূর্ণ দরকারি ফিচার, অভিজ্ঞতা বাড়াতে সক্ষম এমন দক্ষতা যুক্ত না করা হয়, তবে মানুষ নতুন ফোন হালনাগাদ করে না। এতে ডিভাইসের আয়ুষ্কাল বেড়ে যায়। ২০১৮ সালে যেসব মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে, তা ২০১৯ সাল জুড়ে থাকবে।
গার্টনার তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, হাই এন্ডের স্মার্টফোনগুলোর আয়ু আড়াই বছর থেকে ২ বছর ৯ মাস পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
চলতি বছরের শুরুতে কয়েকটি মোবাইল অপারেটর ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক সুবিধা যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের কিছু এলাকায় চালু করেছে। এ সেবা বিস্তৃত হতে আরও সময় লাগবে।
২০২০ সাল নাগাদ ৭ শতাংশ বৈশ্বিক যোগাযোগ সেবা বাণিজ্যিক ফাইভ-জি সেবার আওতায় আসতে পারে। আগামী বছর ফাইভ-জি–সমর্থিত স্মার্টফোন বিক্রি দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। ফাইভ-জি সেবা বাড়তে থাকলে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বাড়বে ও ফোনের দাম কমবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ৫১ শতাংশ ফাইভ-জি ফোন বিক্রি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্যযুদ্ধ ও চীনের ওপর সম্ভাব্য শুল্কারোপের হুমকি চলতি বছরে পিসির বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে।