বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে। আর নিবন্ধনের পরই দেশে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সাথে গত ১ আগস্টের আগে কেনা বা ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ব্যবহার করা যাবে জানিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, ওই তারিখের পর নেয়া অবৈধ হ্যান্ডসেট ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তবে কবে থেকে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সম্প্রতি বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে ১ আগস্ট থেকে অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রয়ের আগে এসএমএস পাঠিয়ে ক্রেতাদের হ্যান্ডসেটের আইএমইআইর বৈধতা দেখে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধ করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থেকে যায় ১ আগস্ট থেকে বিদেশ থেকে আনা, গিফট পাওয়া বা অন্য অনিবন্ধিত কিংবা অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ হয়ে যাবে কি না? এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল বিটিআরসি জানায়, ১ আগস্টের আগের সব মোবাইল হ্যান্ডসেট ভবিষ্যতে স্থাপিতব্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে এবং ব্যবহার করতে পারবে। তবে পরবর্তী সময় বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য আনা বা উপহার হিসেবে প্রাপ্ত হ্যান্ডসেট প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিল সাপেে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সুযোগ পাওয়া যাবে এবং ব্যবহার করা যাবে।
নেটওয়ার্ক থেকে কবে অবৈধ হ্যান্ডসেট বিচ্ছিন্ন করা হবে এমন প্রশ্নে বিটিআরসি বলছে, বিটিআরসি শিগগিরই এনইআইআর সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এই সিস্টেমে স্থাপিত হলে অবৈধ সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবে। ১ আগস্ট থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে ক্রয়কৃত যেসব হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ডাটাবেজে পাওয়া যাবে না সেই সব হ্যান্ডসেট নকল হিসেবে বিবেচিত হবে।
পুরনো অথবা ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিটিআরসি বলছে, বর্তমানে শুধু ২০১৮ সাল এবং পরবর্তী সময়ে আমদানিকৃত অথবা উৎপদিত হ্যান্ডসেটের তথ্য সংরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বর্তমান ব্যবস্থায় নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজন নেই।