জাপানের টোকিওতে চলতি সপ্তাহে নতুন উডুক্কু গাড়ির পরীক্ষা চালিয়েছে এনইসি কর্পোরেশন।
বর্তমানে উডুক্কু গাড়ি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এবার এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিলো এনইসি। পুরোপুরি প্রস্তুত হলে ভবিষ্যতে শহরগুলোয় ট্রাফিক জ্যামের বিড়ম্বনা এড়াতে সহায়ক হবে এই গাড়িগুলো।
এনইসি’র তৈরি পরীক্ষামূলক উডুক্কু গাড়িটি একটি বিশাল আকৃতির ব্যাটারিচালিত ড্রোন, যা মানব পরিবহনে সক্ষম। গাড়িটিতে রয়েছে চারটি প্রপেলার– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।
পরীক্ষার সময় গাড়িটি ভূমি থেকে তিন মিটার ওপরে প্রায় এক মিনিট ভেসে ছিলো। এরপরই এটি মাটিতে নেমে আসে।
নিরাপত্তার জন্য গাড়িটি একটি খাঁচার মধ্যে পরীক্ষা করে এনইসি। আর এটিকে রশি দিয়ে ভূমির সঙ্গেও আটকে রাখা হয়েছিলো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই উডুক্কু গাড়ি প্রকল্পের প্রধান কৌজি ওকাডা বলেন, “ঘনবসতিপূর্ণ দেশ জাপান, তাই রাস্তার ট্রাফিক এড়াতে দারুন সহায়ক হতে পারে উডুক্কু গাড়ি।”
“আকাশ পথে যাত্রা, অবস্থানের ডেটা এবং উডুক্কু গাড়ির জন্য যোগাযোগ কাঠামো তৈরিতে আমরা নিজেদেরকে পথ প্রদর্শকের স্থানে নিয়ে আসছি।”
উডুক্কু গাড়িটি নিজেরা উৎপাদন করবে না এনইসি। ২০২৬ সালে বড় পরিসরে এটির উৎপাদন শুরু করবে অংশীদার প্রতিষ্ঠান কার্টিভেটর, এমনটাই জানিয়েছেন কার্টিভেটর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তমোহিরো ফুকুজাওয়া।
এই খাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও প্রতিযোগিতা করতে হবে এনইসি-কে। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম উডুক্কু গাড়ি বাজারে আনতে প্রতিযোগিতা করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে কার্টিভেটরের পাশাপাশি রয়েছে উবার, বোয়িং এবং কিটি হকের মতো বড় প্রতিষ্ঠান।