বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং কার্যক্রমে নজরদারি আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অনলাইন কার্যক্রমে গোপন নজরদারি কিংবা সাইবার আক্রমণ থেকে নিজেদের কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। অনলাইন নিরাপত্তা জোরদারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিজেদের বেশকিছু করণীয় আছে। একটু সতর্কতা ও ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ নিলে অনলাইনে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকা যায়।
ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন অনেকেই একাধিক সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন, সোস্যাল মিডিয়া বা ই-মেইলে যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন, তা কতটা শক্তিশালী কিংবা নিরাপদ। ফেসবুক বা টুইটারের মতো প্লাটফর্ম ও ই-মেইল অ্যাকাউন্টে সবসময় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। প্রশ্ন হলো পাসওয়ার্ড কীভাবে শক্তিশালী করা যায়। এক্ষেত্রে শুধু একজাতীয় অক্ষর, সংখ্যা কিংবা চিহ্ন ব্যবহার না করে একত্রে অক্ষর, সংখ্যা ও বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার করুন। তাহলে পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হবে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যে, সোস্যাল মিডিয়ায় সবকিছু শেয়ার করা উচিত নয়। কাজেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়, যা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চান না, তা কোনোভাবেই অনলাইনে আপলোড করবেন না। সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোয় নানা ধরনের প্রাইভেসি সেটিংস থাকে, তা সত্ত্বেও হ্যাকিংয়ের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টের জন্য দর্শক নির্ধারণ করে দিতে পারেন। অর্থাৎ কেউ চাইলে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তিকে ব্লক করে পোস্ট করতে পারেন। তার পরও তথ্য বেহাতের ঝুঁকি থেকে যায়।
অনেকেই ফেসবুক কিংবা টুইটারের মতো প্লাটফর্মগুলোয় পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে বন্ধু তালিকায় স্থান দেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। অনলাইনে নিরাপদ থাকতে সোস্যাল মিডিয়ায় শুধু পরিচিতদের বন্ধু করুন। কারণ সাইবার অপরাধীরা অনেক সময় বন্ধু বেশে সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এছাড়া ক্ষতিকর বার্তা বা মেইল প্রেরণের মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়া বা ই-মেইল অ্যাকাউন্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। কাজেই অনলাইন প্লাটফর্মে অপরিচিত বন্ধুদের থেকে সাবধান।
সোস্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত বা অন্যের মূল্যবোধে আঘাত দেয়, এমন কোনো বিষয় পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। টানা বিতর্কিত পোস্ট করতে থাকলে নির্দিষ্ট গ্রুপের মাধ্যমে সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারেন। এর ফলে বেহাত হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য এবং আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হতে পারে। এছাড়া সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোও এখন বিতর্কিত পোস্ট বিষয়ে কঠোর নীতি অনুসরণ করছে। কাজেই বিদ্বেষ ছড়ায়, এমন পোস্টের কারণে সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হতে পারে।