অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণের নাম রাখার ক্ষেত্রে ইংরেজি অক্ষরের ক্রম ও সে অক্ষর দিয়ে মিষ্টির নাম রাখার চল ছিল। এবারে অ্যান্ড্রয়েড কিউ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে সে ধারা ভেঙে ফেলল গুগল। অ্যান্ড্রয়েড কিউ অপারেটিং সিস্টেমকে বলা হয়ে ‘অ্যান্ড্রয়েড ১০’ বা ‘অ্যান্ড্রয়েড টেন’।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মজার নামকরণ শুরু করে গুগল। ওই ধারা অনুযায়ী নতুন সংস্করণটির নাম এত দিন ‘কিউ’ বলা হচ্ছিল। গুগল বলছে, তারা ওই নাম রাখার ধারা বদলে ফেলছে। কারণ, এতে গ্রাহকদের হালনাগাদ সংস্করণটির নাম মনে রাখতে কষ্ট হয়।
চলতি বছরের শেষদিকে অ্যান্ড্রয়েড টেন অপারেটিং সিস্টেমটি উন্মুক্ত করা হয়। এর আগের ৯টি অপারেটিং সিস্টেমের নাম হলো আলফা, বিটা, কাপকেক, ডোনাট, এক্লেয়ার, ফ্রয়ো, জিঞ্জারব্রেড, হানিকম্ব, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলিবিন, কিটক্যাট, ললিপপ, মার্শমেলো, নোগাট, ওরিও, অ্যান্ড্রয়েড পাই।
গুগলের এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, অ্যান্ড্রয়েড ওএসের নামকরণের ঐতিহ্য প্রতিবছর মজার একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছি। বৈশ্বিক কমিউনিটিতে নামের বিষয়টি সবার বুঝতে সমস্যা হয়। বৈশ্বিক অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে নামকরণের বিষয়টি সবার বোধগম্য হওয়া জরুরি।
গত বছরের আগস্টে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারের নতুন সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই এনেছিল গুগল।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ কিউ সংস্করণে অবশ্য বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। লোগো ও ব্র্যান্ডের রঙেও পরিবর্তন আসছে। এ ছাড়া এতে বিশেষ ফিচার হবে ডার্ক মোড। এটি মূলত ব্যাটারির চার্জ বাঁচানোর জন্য আনতে যাচ্ছে গুগল। এর আগে অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ সংস্করণে মেটিরিয়াল ডিজাইন যোগ করার আগে সিস্টেমের বেশির ভাগ জায়গা কালো থাকত; বিশেষ করে সিস্টেম সেটিংস।
গুগল স্বীকার করেছে, শুধু ওএলইডি নয়, এলসিডি ডিসপ্লেতেও ডার্ক মোডে ব্যাটারি বাঁচে। তাই আবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মেটেরিয়াল ডিজাইন বাদ দিয়ে ডার্ক মোডে ফিরে যেতে চাইছে তারা। অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি একাধিক অ্যাপেও ডার্ক মোড আসতে পারে।
গত বছর গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে অ্যান্ড্রয়েড কিউয়ের প্রিভিউ দেখায় গুগল। সেখানে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং ফিচারের কথা বলা হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ কিউ সংস্করণ উন্মুক্ত করতে পারে গুগল।