মশা দিয়েই মশার বংশ ধ্বংস করবে গুগলের ‘অ্যালফাবেট’। নির্মূল করবে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া। চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর বিষে ভরা রাক্ষুসে স্ত্রী মশাদের টেনে আনা হবে গুগলের পছন্দের পুরুষ মশাদের কাছে।
গুগল নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্ধতিটা এমন- যাদের সঙ্গে তাদের মিলন হবে, সেই পুরুষ মশাদের শরীরে গুগলের বিজ্ঞানীরা ঢুকিয়ে দিয়েছেন ‘উলবাচিয়া’ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া। যা স্ত্রী মশাদের বন্ধ্যা করে দেয়। ফলে, মিলনের পর স্ত্রী মশারা আর ডিম পাড়তে পারবে না। তাই মশার বংশ আর বাড়বে না। ফলে মশার বংশ ধ্বংস হতে বেশি সময়ও লাগবে না। এতে নির্মূল হবে কোনো এলাকায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো ‘এডিস ইজিপ্টাই’ প্রজাতির মশাবাহিত ভয়ঙ্কর রোগ।
মিলনের ফাঁদে ফেলে মশা দিয়ে মশা মারার এই অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন গুগলের মূল সংস্থা ‘অ্যালফাবেট’রই আরেকটি ইউনিট ‘ভেরিলি লাইফ সায়েন্স’র জীববিজ্ঞানীরা। হালে তারা তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতির পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালিয়েছেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনো কাউন্টিতে। এভাবেই গোটা বিশ্বে মশাবাহিত রোগগুলো নির্মূল করা যাবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা।
সংস্থার মুখপাত্র ক্যাথলিন পার্কস বলেছেন, একটি উঁচু মার্সিডিজ ভ্যান ছুটতে ছুটতে ফ্রেসনো কাউন্টির বিশাল এলাকাজুড়ে টিউব থেকে আশপাশের জঙ্গল ও লোকালয়ে ছড়িয়ে দেয় শরীরে বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ‘উলবাচিয়া’ পুরে দেয়া প্রায় ৮০ হাজার পুরুষ মশা। যাদের টানে কাছে এসে গোটা এলাকার স্ত্রী মশারা মিলনের পর পুরোপুরি বন্ধ্যা হয়ে গেছে।
গবেষণাগারে ওই পুরুষ মশাগুলোর শরীরে ‘উলবাচিয়া’ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি, বিশেষ ধরনের একটি টিউব থেকে বের করে তাদের বিষে ভরা স্ত্রী মশাদের সঙ্গে যুদ্ধে নামানোর আগে লেসার রশ্মি দিয়ে প্রতিটি মশার ওপর নজরও রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই পদ্ধতিতেই সবচেয়ে সহজে আর সবচেয়ে কম খরচে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিষে ভরা মশাদের বংশ ধ্বংস করা যাবে।