হ্যাকারদের কবলে পড়লেন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডোরসি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে হ্যাক করা হয় জ্যাক ডোরসির টুইটার অ্যাকাউন্ট। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
প্রায় ২০ মিনিট হ্যাকারদের দখলে থাকে অ্যাকাউন্টটি। ওই সময় ডোরসির অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রমাগত বর্ণবাদী ও আক্রমণাত্মক লেখা টুইট করা হচ্ছিল। জ্যাকের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়, ‘টুইটারের সদর দপ্তরে বোমা রয়েছে।’ প্রতিটি টুইটের সঙ্গেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘দ্য চাকলিং হেল্লা’ লেখা হয়েছিল।
এর মধ্যে বিষয়টি দ্রুত টুইটারের নজরে আসে। কিছুক্ষণ পর জ্যাক ডোরসির অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়, ‘বর্তমানে অ্যাকাউন্টটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে।’
এদিকে টুইটার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, জ্যাকের অ্যাকাউন্ট সরাসরি কেউ হ্যাক করেনি। তবে তাঁর অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বরটি কেউ নিজের দখলে নিয়ে এসএমএস ফিচারের মাধ্যমে টুইটগুলো করছিল।
এর আগে টুইটারের কিছু ত্রুটি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটিকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু টুইটার বরাবরই তাদের ত্রুটির কথা অস্বীকার করে আসছিল। অনেকেই ধারণা করছেন, নিজেদের ত্রুটির ফলেই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন ডোরসি।
তবে টুইটারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুরো বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে। টুইটারের সিস্টেমে কোনো ত্রুটি নেই বলেও দাবি করা হয়।
এদিকে টুইটারের সদর দপ্তরে বোমা থাকার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
এর আগে ২০১৬ সালেও জ্যাক ডোরসির টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘আওয়ার মাইন’ নামে এক গ্রুপ হ্যাক করেছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমটিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, যদি টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতার অ্যাকাউন্টই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়, তাহলে অন্যদের অ্যাকাউন্টও সুরক্ষিত নয়। এদিকে টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা এবং অনেক হাই-প্রোফাইল অ্যাকাউন্ট রয়েছে। হ্যাকাররা চাইলে তাঁদের কারো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত টুইট এমনকি যুদ্ধও লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।