কয়েকদিন আগে চাইনিজ পন্যের উপর ট্রাম্পের নতুন ধার্যকৃত শুল্ক বা করের প্রভাব প্রায় কয়েকশ গৃহাস্থলী পন্য ও টেক বেইজ পন্যের উপর সবচেয়ে বেশী পড়েছে । সেজন্য অ্যাপল সহ অনান্য বড় বড় কোম্পানী গুলো বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
আমেরিকার সবচেয়ে বড় এই টেক কোম্পানীর (অ্যাপল) সকল প্রোডাক্টের বিভিন্ন এক্সেসেসরিজ থেকে শুরু করে পুরো পন্য তৈরী করা হয় চীনে এবং তারপর সম্পূর্ন তৈরীকৃত প্রোডাক্ট গুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। কিন্তু এখন অ্যাপল এয়ারপড থেকে শুরু করে অ্যাপল ওয়াচ , অ্যাপল হোমপড, টিভি স্পীকার ডিজিটাল ক্যামেরা সহ বেশীর ভাগ পন্য গুলো উচ্চ করের আয়ত্তায় পড়েছে যার ফলে কোম্পানিটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত অ্যাপলের আইফোন গুলো এই করের আওয়াভুক্ত হয়নি তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি চলতি বছরের ডিসেম্বরে আবারোও চীনের থেকে আমদানীকৃত পন্যের উপর শুল্ক ধার্য করে তাহলে আইফোন গুলোর দাম আকাশ্চুম্বী হয়ে যাবে বলে ক্রেতারা আসংখ্যা করছে।
চীন ও আমেরিকার এই ট্রেড যুদ্ধের ফলে অ্যাপলের মূল প্রতিযোগী কোম্পানী স্যামসাং অনেক সুবিধা ভোগ করবে বলে কোম্পানিটি জানায় । কারন মানুষ তখন অ্যাপলের বিকল্প হিসেবে স্যামসাং কে বেছে নিবে।সেজন্য গত সপ্তাহে অ্যাপলের সিইও টিম কুক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাত করেন এবং অ্যাপল সহ বিভিন্ন টেককোম্পানী গুলোর ক্ষতি ও রাইভাল কোম্পানি গুলোর সুবিধা ভোগ করবে তাই এই উচ্চ করের বিষয়টি নিয়ে আবার ভেবে দেখার অনুরোধ করেন।
নতুন ১৫% শুল্কের প্রভাব পড়বে চায়নার বিভিন্ন পন্যের উপর যার মূল্য ১২২ মিলিয়ন ডলারের বেশী। গত সপ্তাহে আমেরিকার ট্রেড রিপ্রেসেন্টেটটিভ অফিস বলেন চায়নার উপর ধার্যকৃত সকল আমদানীকৃত চাইনিজ পন্যের উপর ১২২ পেইজে একটি পুর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেন ।তাছাড়া আমেরিকার কনজিউমার ট্রেড অ্যাসোসিয়েসণ জানায়- অ্যাপল ছাড়াও প্রায় ২০০০ এর বেশি ইলেক্ট্রনিকস কোম্পানিগুলো এই উচ্চ করের ফলে সমস্যার সম্মুখীন হবে ।তবে অ্যাপল থেকে এখণো পর্যন্ত নতুন ধার্যকৃত করের ফলে তাদের প্রোডাক্ট গুলোর দাম কত শতাংশ বাড়াবে তা কিছু জানায়নি।
ট্রেড অ্যাসোসিয়েসণ আরো বলেন ২০১৮ সালের জুলাই থেকেই আমেরিকার টেক কোম্পানী গুলো প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশী ক্ষতির সুম্মুখীন হচ্ছে, সেই সাথে ৫ জি সম্পার্কিত পন্য গুলোতে ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
কারন সবমিলিয়ে আমেরিকার ট্রেড দাতাদের ২০১৮ সাল থেকে আমদানীকৃত পন্যের উপর কে অতিরিক্ত ২৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে আর এর বেশীরভাগ অংশই টেক কোম্পানি গুলোকে দিতে হচ্ছে। আর এখন নতুন ধার্যকৃত শুল্কের ফলে আরো দ্বিগুন ডলার ব্যয় করতে হবে ,বিশেষ করে যদি অক্টোবরে চীন থেকে আমদানিকৃত পন্যের উপর ৩০% কর ধরা হয় তাহলে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ বহন করতে হবে বলে জানায় আমেরিকান ইনফোরমেশন টেকনোলোজি ইন্ড্রাস্টি কাউন্সিল।
সুত্র: টেকক্রাঞ্চ, সিএনবিসি
লেখক: জান্নাত কাদের চৌধুরী, হেড অব কন্টেন্ট, সার্চ ইংলিশ লিমিটেড