ভিডিও গেম খেলাটা নিরেট আনন্দের বিষয় হলেও এই গেম খেলতে খেলতে বাড়ে চিন্তার পরিপক্কতা। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতা। বলা হচ্ছে, অনেকক্ষেত্রে একটি গইমার বাস্তব জীবনে যুদ্ধের যে প্রশিক্ষণ নেন তার চেয়ে বেশি দক্ষতা গেম থেকে অর্জন করতে সক্ষম। আর সেই দক্ষতা সে বাস্তব জীবনেও প্রয়োগ করতে পারেন। এর বদৌলতেই হয়তো বর্তমান সময়ের অনেকেই ভিডিও গেম খেলেই ভালো চাকরি পেয়েছেন। এখনতো নিয়োগ বোর্ডে পছন্দের কর্মী হিসেবে গেমারদের খুঁজে বের করেন অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা।
এরইমধ্যে অনেকেই তাদের জীবনবৃত্তান্তে ফোর্টনাইট গেম খেলার অভিজ্ঞতাকে নিজের যোগ্যতা হিসেবেই যুক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ রয়াল এয়ার ফোর্সের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা অনেক সময় নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন অনেক গেমারকে অগ্রাধিকার দেন যারা বিভিন্ন যুদ্ধভিত্তিক গেইম খেলে হাত পাকিয়েছেন। কিছুদিন আগেও অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেক গেমারকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যাটল গেমে দক্ষ।
এমনই এক নিয়োগ বাছাই কমিটির সদস্য রায়ান্স গার্ডনার বলেন, যারা গেম খেলায় ভালো তারা বাস্তবেও খুব পেশাদর মনোভাবের হন। তারা টিম ওয়ার্ক, প্রবলেম সলভিং এবং কৌশলগত পরিকল্পনায় পাকা হোন।
কিন্তু গেমররা ঠিক কতটুকু দক্ষ হবার পর সেটি জীবন বৃত্তান্তে যুক্ত করবেন তার একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি রাখার কথাও বলেছেন তারা। অবশ্য সিভিতে যদি ভিডিও গেমে দক্ষতার বিষয়টি লেখতে হয় তবে অবশ্যই সেই চাকরি এবং তার সঙ্গে গেমিং দক্ষতার যোগসূত্র থাকতে হবে।
যারা আনইউজুয়াল পাজল যেমন পোর্টাল, অথবা ডিফেন্স গেম, ডিফেন্স গ্রিড খেলে থাকেন তারা খেলতে খেলতেই কর্মজগতের অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
অন্যদিকে কেউ যদি সিভিলাইজেশন, টোটাল ওয়্যার কিংবা এক্স-কম গেম খেলেন তবে তিনি একজন ভালো রিসোর্চ ম্যানেজার হয়ে উঠতে পারবেন। তখন ওই খেলোয়াড়ই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদে খুব ভালো করতে পারবেন বলেই মনে করছেন বিশ্লষকরা।
দুবছর আগেই গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি এক গবেষণায় বলেছে, যেসব শিক্ষার্থী গেমিংয়ে দক্ষ তারা একাডেমিক পড়াশোনাতেও ভালো করছে।