যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধে কিছুদিন ধরেই ‘ক্রসফায়ারে’ পড়ে মার খাচ্ছে হুয়াওয়ে। তবে এ যুদ্ধের মধ্যে পড়েও বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাইছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে তাদের একটি পদক্ষেপ হলো নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ‘হারমনি ওএস’ উন্মুক্ত করা। তাদের এই ওএসে নিজস্ব ডিভাইস চলবে। প্রথমত, গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্প হিসেবে হারমনিকে সামনে আনলেও গত জুলাই মাসে হারমনি নিয়ে সবাইকে চমকে দেয় হুয়াওয়ে। তারা জানায়, হারমনি ওএস শুধু হুয়াওয়ের স্মার্টফোনে নয়, টিভি, ল্যাপটপ, স্মার্টওয়াচের মতো নানা পণ্য সমর্থন করবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমো চায়নার প্রতিবেদন অনুযায়ী হুয়াওয়ের বৈশ্বিক পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ পণ্য প্রধান পিটার গাউডেন বলেছেন, হারমনি ওএস দিয়ে চীনের বাইরে শুরুতেই স্মার্টওয়াচ ও ল্যাপটপ বাজারে ছাড়া হবে। অর্থাৎ, সরাসরি মাইক্রোসফটের উইন্ডোজকে টক্কর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে হুয়াওয়ে।
অবশ্য, মাইক্রোসফটের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে উইন্ডোজ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। তবে গাউডেন বলেছেন, শিগগিরই তাঁরা নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে চলে যাবেন। হারমনি ওএসের ল্যাপটপ বাজারে ছাড়বেন।
বর্তমানে চীনের বাইরে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের বাজারে হুয়াওয়ের ল্যাপটপের বাজার খুব বেশি বড় নয়। তবে চীনের বাজারে যদি উইন্ডোজ পিসির জায়গা তারা নিতে পারে, তবে মাইক্রোসফট ধাক্কা খাবে।
এখন পর্যন্ত অবশ্য হুয়াওয়ের হারমনি ওএসের বিষয়টি খুব বেশি পরিষ্কার নয়। ১৯ সেপ্টেম্বর হুয়াওয়ের পরবর্তী বড় অনুষ্ঠান মেট ৩০ স্মার্টফোন উদ্বোধন হচ্ছে জার্মানিতে। নতুন এ স্মার্টফোনে গুগলের কোনো অ্যাপ সমর্থন করবে না বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে হুয়াওয়েকে পণ্য ও সেবা দেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। গত আগস্টে ৯০ দিনের জন্য কিছুটা ছাড় পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এ সময় কেবল পুরোনো পণ্যগুলোতে সেবা চালু রাখতে পারবে। নতুন পণ্যের জন্য কোনো পণ্য ও সেবা নিতে পারবে না তারা।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড তাদের প্রথম পছন্দ হলেও হারমনি নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।