অনেক লাইক পড়েছে, তার মানে লেখাটি ‘ভালো’। অনেক শেয়ার হয়েছে, তার মানে লেখাটি ‘ভালো’ তো অবশ্যই এটি নিয়ে আগ্রহও ‘তুঙ্গে’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই জামানায় এভাবে হিসাব কষতে কষতে দিন যাচ্ছে প্রজন্মের। সমাজ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে বিচার করার পদ্ধতি না থাকলে ইন্টারনেট মানুষের কাছে আরও সুখের স্থান হতো।
ফেসবুকের এই লাইক অপশনের মতো ইউটিউবের রয়েছে ভিউ পদ্ধতি। যে ভিডিওটি লাখবার দেখা হয়েছে তার তুলনায় যেটি ১০ বার কিংবা ১৫ বার দেখা হয়েছে সেটিকে স্বভাবতই ‘নিম্নমানের’ বলে বিচার করা হয়। এই বিচারের প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন।
কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল টুইটার লাইক পদ্ধতি উঠিয়ে দিতে চায়। কিন্তু ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে এখনো তারা সেই পথে হাঁটেনি।
লাইক না রাখার পক্ষে টুইটারের যুক্তিটা ছিল এমন, ‘লাইক পদ্ধতি না থাকলে ব্যবহারকারীরা ছবি কিংবা কনটেন্টের প্রতি বেশি মনোযোগী হবে। এখন অনেকেই শুধু লাইক দিয়ে দায় সারতে চায়। ’
মিডিয়া দক্ষতা বিষয়ক গবেষক এবং সমাজ বিজ্ঞানী ফিলিপস ওয়্যার্ড নিউজকে বলেন, ‘এটি যদি করা হয়, তবে অনলাইনের আলোচনা আরও উন্নত হবে। কনটেন্ট প্রস্তুতকারকরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করবে না।
মন খারাপের বিষয় থাকবে না। সামগ্রিকভাবে দারুণ একটি ব্যাপার হবে। ’