শুরুটা এমন ছিল না, ডাক্তার কি আবার উদ্দ্যক্তা হতে পারে? তাও আবার টেকনোলজি কে সাথে নিয়ে?
ডাক্তার হিসেবে রুগীদের কে নিয়ে কাজ করতে গিয়েই মনে হল, প্রযুক্তি কে বাদ দিয়ে কোন ভাবেই কারোই এগুনো সম্ভব না। সেই থেকে উদ্দ্যোক্তা হওয়া আর সেটি মেডিকেল প্রফেশন কে সাথে নিয়ে।
ডা.ফাহরিন হান্নান শুরু করেন ঢাকা কাস্ট হেলথ কেয়ার স্টার্টআপ যেখান থেকে ডায়বেটিস রোগিদের জন্য এনেছেন সব রকম সাপোর্ট।
সম্প্রতি চায়না তে বিশ্বের সব চেয়ে বড় ওমেন টেক বেইজড অর্গানাইজেশন she loves tech Global Start up competition series 2019 এ বাংলাদেশের রিজিওনাল উইনার হয়ে সুযোগ পান বেইজিং এ নিজ দেশ কে রিপ্রেজেন্ট করার।
“শি লাভস টেক” নারী উদ্যোক্তাদের জন্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ কম্পিটিশন। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, জার্মানি, হংকং, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের ৪০টি দেশের সেরা নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রতিযোগিতার মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে চীনের বেইজিং শহরে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস সুরক্ষা সেবা নিয়ে ‘শি লাভস টেক’র মূল পর্বে ‘ঢাকা কাস্ট’
৭দিনের এই প্রগ্রামের আওতায় ছিল চায়নার বিখ্যাত কোম্পানি গুলোর সাথে সাক্ষাৎ এর সুযোগ। Cheetah mobile, Baidu, innoway, LinkedIn, Xaiomi সহ বিশ্বের সব দেশের করপোরেট লেভেলের সিইও দের সাথে কথা বলা। এছাড়াও জার্মানি, ফ্রান্স, ইউ এস, হংকং, চায়না, সিংগাপুর, ইস্রায়েল সহ ১৫টি দেশের সাথে বাংলাদেশের হয়ে একই মঞ্চে পিচ করবার মত সম্মান।
দেশকে এই প্রথম এত বড় টেক বেইজড কম্পিটি্শনে রিপ্রেজেন্ট করতে পেরে ডা. ফাহরিন খুব ই গর্বিত।
ঢাকা কাস্ট মুলত চার জন কো ফাউন্ডার দ্বারা গঠিত , তার মধ্যে তিন জন ই ডক্টর। হেলথ কেয়ার স্টার্টআপ হিসেবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে চান তারা।
প্রসঙ্গত, টার্টল ভেঞ্চার, আইওবিই এবং ইএমকে সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত বেইজিং নির্ভর নারীদের জন্য আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ ‘শি লাভস টেক’ শীর্ষক বাংলাদেশ পর্বের এ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। ‘শি লাভস টেক’ এর মূল পর্বে বাংলাদেশ থেকে চীনের বেইজিং প্রতিযোগিতা করে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা কাস্ট’।