আগের বছরের তুলনায় দাম কিছুটা সস্তা হলেও ৫জি না থাকার কারণে এবার বিক্রি কমেছে নতুন আইফোনের এমটাই উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক পাইপার জেফরি’র জরিপে।
এবারে আইফোন ১১ এর বাজার মূল্য শুরু হয়েছে ৬৯৯ মার্কিন ডলার থেকে, যা আগের বছরের আইফোন Xআর- এর চেয়ে ৫০ ডলার কম। এতে ডিভাইসটি অনেকেরই কেনার সাধ্যের মধ্যে আসলেও মূলত ৫জি না থাকার কারণে ক্রেতারা আইফোন ১১ কেনা থেকে বিরতই থাকছেন। জনপ্রিয় এক বিশ্লেষকের বক্তব্য অনুযায়ী আগামী বছরের আইফোনে যোগ হতে পারে ৫জি — খবর সিএনবিসি’র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেড় হাজার আইফোন ব্যবহারকারীর উপর জরিপ চালিয়েছে পাইপার জেফরি। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ গ্রাহক জানিয়েছেন তারা নতুন এই আইফোনটি কিনতে আগ্রহী। যেখানে আগের বছর আইফোন Xআর, Xএস এবং Xএস ম্যাক্স বের হওয়ার সময় করা এই একই জরিপে ৬৯ শতাংশ গ্রাহক আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
এদিকে বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান রোজেনব্লাট সিকিউরিটিজ-এর তথ্যানুযায়ী ২০১৮ সালের চেয়ে এবার আইফোনের দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা অনুযায়ী এ বছর আইফোনের মোট বিক্রির ৬০ শতাংশ দখল করবে অপেক্ষাকৃত সস্তা আইফোন ১১। আগের বছর বিক্রি হওয়া নতুন আইফোন মডেলগুলোর মধ্যে আইফোন Xআর বিক্রি হয়েছিলো ৫৫ শতাংশ।
পাইপার জেফরির এক বিশ্লেষক বলেন, মূল্য কম হওয়ায় আগের বছরের তুলনায় সংখ্যায় কিছুটা বেশি বিক্রি হলেও সার্বিক বিক্রি হিসেবে এটি আগের বছরের সমানই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগের বছরের চেয়ে এই অর্থ বছরে অ্যপালের আয় এক শতাংশ কমও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্লেষকদের ধারণা, অ্যাপল সম্ভবত দাম কমিয়ে সংখ্যায় বেশি পরিমাণ ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছে যেন ৫জি বের হলে এর বিক্রি সংখ্যায় বেড়ে যায়। তারা আশা করছেন ৫জি বের হলে আয় দুই শতাংশ বাড়বে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০৫০ জন আইফোন ব্যবহারীর ওপর আরেকটি জরিপ চালিয়েছে পাইপার জেফরি । সেখানে সবাইকে জিজ্ঞেস করা হয় তারা ৫জি-তে আসতে চান কিনা? এতে ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন তারা ৫জি-তে আসতে আগ্রহী, যা জুন মাসের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।
ইতোমধ্যেই বাজারে ৫জি ফোন নিয়ে এসেছে অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী স্যাসমাং। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ৫জি-এর প্রসার এখনও তেমন একটা হয়নি। ফলে খুব কম লোকই বর্তমানে ৫জি’র সুবিধা পাচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।