ফেসবুকরাজনীতিবিদদের সব পোস্টকেই ‘সংবাদ হওয়ার যোগ্য’ কনটেন্ট হিসেবে বিবেচনা করবে ফেসবুক। কর্তৃপক্ষ এসব পোস্ট শুধু ‘দেখবে এবং শুনবে’। অবশ্য ফেসবুক কাদের রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচনা করবে সে বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি জানিয়েছে, রাজনীতিবিদদের বক্তব্যকে নিজেদের সত্যতা যাচাই কার্যক্রমের বাইরে রাখবে তারা। ভুয়া সংবাদ এবং ভুল তথ্য ছড়ানো রোধেই মূলত ফেসবুকের সত্যতা যাচাই (ফ্যাক্ট-চেক) কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক গণমাধ্যম গ্যাজেটস নাউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজনৈতিক কথাবার্তা কিংবা বিতর্কে রেফারি হতে চায় না ফেসবুক। এমনকি ব্যবহারকারীদের জন্য রাজনীতিবিদদের দেওয়া বক্তব্য প্রতিরোধও করতে চায় না তারা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকের কমিউনিকেশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ বলেন, ফেসবুক ২০১৬ সালে ভুল করেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। ক্লেগ বলেন, পরবর্তীতে যেন এমনটি না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ভুয়া সংবাদ কিংবা ভুল তথ্যের প্রচার রোধে তৃতীয় স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে সত্যতা যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে রাজনীতিবিদদের কোনও পোস্টের সত্যতা এখন থেকে যাচাই করা হবে না।