নতুন ম্যাক প্রো ডেস্কটপের কয়েকটি সরঞ্জামে শুল্কছাড়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস। যদিও সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে অ্যাপল জানিয়েছিল, নতুন ম্যাক প্রো টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ১৫টি সরঞ্জামের মধ্যে ১০টিই অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সংগ্রহ করা হবে। আর মাত্র পাঁচটি সরঞ্জাম আমদানি করতে হবে এশিয়ার বাজার থেকে।
এ পাঁচটি সরঞ্জামে শুল্কছাড় চেয়েছিল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস থেকে বলে দেয়া হয়েছে, চীনা পণ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত ২৫ শতাংশ আবগারি শুল্ক দিয়েই ওসব সরঞ্জাম আনতে হবে। এর ফলে নতুন ম্যাক প্রোর দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। খবর এঙ্গেগেজেট।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাক প্রোর জন্য যে পাঁচটি সরঞ্জাম চীন থেকে অ্যাপলকে আনাতে হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক্যাসিংয়ে থাকা অপশনাল হুইল, ইনপুট-আউটপুট পোর্টের সার্কিট বোর্ড, পাওয়ার অ্যাডাপ্টর, চার্জিং কেবল ও প্রসেসরের জন্য কুলিং সিস্টেম।
অ্যাপলের শুল্কছাড়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস থেকে বলা হয়েছে, ওই নির্দিষ্ট সরঞ্জামগুলোতে অতিরিক্ত করারোপের ফলে অ্যাপল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো স্বার্থহানি ঘটবে এমন কিছু দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি।
অর্থাত্ শুল্কছাড়ে রাজি করাতে যথেষ্ট যুক্তি উপস্থাপনে অ্যাপল ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও অ্যাপল বলেছে, এসব পণ্যের আর বিকল্প কোনো উত্স নেই। কারণ এসব সরঞ্জাম একমাত্র অ্যাপলের নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা হচ্ছে।
১৫টির মধ্যে মাত্র পাঁচটি সরঞ্জামে শুল্কছাড়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও নতুন ম্যাক প্রোর দামে বেশ প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ম্যাক প্রোর দাম শুরু হবে ৫ হাজার ৯৯৯ ডলার থেকে। তবে ক্যাসিং হুইলের জন্য আলাদা মূল্য পরিশোধ করতে হবে।