ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মো. কাউছার আহমেদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আজহারুল ইসলাম (উপপরিদর্শক) কাউসারকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে শুনানিতে আসামি পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিল না।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ কুমিল্লার কোটবাড়ির একটি হোস্টেল থেকে কাউছারকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্টে রাখা ৭৭ হাজার ৭৮৬ টাকা উদ্ধার করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের এডিসি নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, কাউছার ফিশিং লিংকের মাধ্যমে ফেসবুক আইডি হ্যাক করতো। হ্যাক করা আইডির টাইমলাইনে ও ইনবক্সে অশালীন ছবি/ভিডিও, অশালীন কথাবার্তা লিখে পেস্ট করে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে আইডি ফেরত দেওয়ার শর্তে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করতো।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১০ জুলাই মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা এক নারীর মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩৪/২৯/৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এ মামলায় কাউছারকে রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
মামলার তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাদী ওই নারীসহ বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এরইমধ্যে বাধ্য হয়ে কাউছারকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন। মোবাইল ব্যাংকিং, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, স্ক্রিল এবং জিমেইল এবং প্রযুক্তির সাহায্যে এই হ্যাকারকে শনাক্তের পর আটক করা হয়। গ্রেফতারের সময় আসামির ব্যবহৃত স্মার্টফোনে এ মামলার বাদীর ফেসবুক আইডিসহ দুই শতাধিক আইডি পাওয়া যায়।
এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হ্যাকার কাউছার ফিসিং লিংকের মাধ্যমে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে। সে কৌশলে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আইডি ফেরত দেওয়ার কথা বলে বিকাশ পার্সোনাল/এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের নম্বরে টাকা দাবি করতো।