বর্তমানে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের আয় ১০০ কোটি ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ আয় ৫০০ কোটি ডলারে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) দ্বিতীয় দিনের মিনিস্ট্রিয়াল অধিবেশনে এ কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। এই অধিবেশনে কয়েকটি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
মন্ত্রী পর্যায়ের এই অধিবেশনে মূল বক্তা ছিলেন বিসিজি সিনিয়র পার্টনার ও গ্লোবাল লিডার ফর ডিজিটাল গভর্নমেন্ট মিগুয়েল কারারসকো। তিনি বলেন, প্রযুক্তি কর্মসংস্থান তৈরি করে। আগামী দিনে যেরকম কাজ হবে, এর ১০ শতাংশ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ২০ শতাংশ করবে প্রযুক্তি। বাকি ৭০ শতাংশের জন্য মানুষকেই লাগবে।
অধিবেশনে জুনাইদ আহমেদ তাঁর বক্তব্য ও উপস্থাপনায় বাংলাদেশের আইসিটি খাতের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তির বিকেন্দ্রীকরণ করছি। এ জন্য দেশব্যাপী ২৮টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে। এখানে আমাদের সবার একটাই ইচ্ছা, তা হলো অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহার করা। আগামী ২০২১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডব্লিউসিআইটিতে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি সবাইকে আমন্ত্রণ জানান।
এই অধিবেশনে বক্তৃতা করেন আর্মেনিয়ার হাইটেকমন্ত্রী আর্শাকিয়া, মালয়েশিয়ার পেনাং স্টেট এক্সিকিউটিভ জাইরাল খির জোহারি, ইরানের তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী নাসের আবু, বুলগেরিয়ার উপমন্ত্রী মারিয়ানাসহ অনেকে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক সংগঠন উইটসার এই বার্ষিক আয়োজন আজ শেষ হবে। এতে ৭০টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
বিসিএস ও পিকম একসঙ্গে কাজ করবে: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং মালয়েশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন পিকম। গতকাল ডব্লিউসিআইটি প্রদর্শনীর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দুই সংগঠনের মধ্যে এ নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, মালয়েশিয়ার পেনাং স্টেট এক্সিকিউটিভ জাইরাল খির জোহারি, উইটসার সভাপতি ইভোন চু, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য অপরাজিতা হক, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবসহ অনেকে।
২০২০ সালে ডব্লিউসিআইটির আসর বসছে মালয়েশিয়ায় এবং ২০২১ সালে এ সম্মেলন হবে বাংলাদেশে। এই দুটি আয়োজনকে সফল করতে তাই এখন থেকেই একসঙ্গে কাজ করবে পিকম ও বিসিএস। পাশাপাশি তারা দুই দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নেও পারস্পরিক সহযোগিতা করবে। চুক্তিপত্রে সই করেন বিসিএসের সভাপতি শাহিদ-উল মুনীর ও পিকমের চেয়ারম্যান গণেশ কুমার বানগা।