১৯৯২ সালে যখন মাত্র ১০টি ওয়েবসাইট নিয়ে যাত্রা করে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ)। এরপর রীতিমতো পরমাণু বিস্ফোরণের মতো বেড়েছে ওয়েবসাইটের সংখ্যা। ইন্টারনেট লাইভ স্ট্যাটসের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে স্ট্যাটিস্টা ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট সেন্ট্রাল ইউরোপীয় সময় ১০টা ২২ মিনিটে মোট ওয়েবসাইটের সংখ্যা পাওয়া গেছে ১৭১ কোটি।
এর আগে ১৯৯৮ সালে মাত্র ২৪ লাখ ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব ছিল। ২০০০ সালে তা বেড়ে ১ কোটি ৭১ লাখে দাঁড়ায়।
তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, বিদ্যমান ওয়েবসাইটের অতিনগণ্য সংখ্যকই সক্রিয় রয়েছে। লাইভ স্ট্যাটের হিসাবে, বিদ্যমান ১৭১ কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে মাত্র ২০ কোটি। বাকিগুলো পার্ক করা রয়েছে বা মালিকানা ত্যাগ করা হয়েছে। সে হিসাবে ৮৮ শতাংশেরও বেশি ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়।
এ জরিপে ওয়েবসাইট বলতে ইউনিক ডোমেইল নামকে বোঝানো হয়েছে, যেগুলোর অধীনে ইন্টারনেটে একটি নির্দিষ্ট আইপি ও নেম সার্ভার রয়েছে।
ওয়েবসাইটের সংখ্যা ১০০ কোটির মাইলফলক ছোঁয় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর এ সংখ্যা কমতে থাকে। ২০১৬ সালে আবার বাড়ে। ২০০৯ ও ২০১২ সালের পরও ওয়েবসাইটের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আগের বছরের তুলনায় ওয়েবসাইটের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে ছিল রেকর্ড ১৭৬ কোটি ওয়েবসাইট। তবে ওয়েবসাইটের সংখ্যায় এ হ্রাস-বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন খুব জটিল বিষয়।