কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা নয়, বরং সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিউটন হাওয়ার্ড। গতকাল রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় দেশের প্রাচীনতম বাণিজ্য সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) আয়োজনে ‘হিউম্যান সেন্ট্রিক বিজনেস ইনোভেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন’ শীর্ষক বিজনেস টকে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে নিউটন হাওয়ার্ড বলেন, অনেকে মনে করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরো বিকাশ হলে হয়তো ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক মানুষ বেকার হবে, অনেকে প্রযুক্তির আধিক্যে অলস হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টি এ রকম হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষই তৈরি করে, আর প্রতিটি মানুষই অন্যের চেয়ে আলাদা। ফলে মানুষের মস্তিষ্কই প্রকৃত সম্পদ। সে যেভাবে একে ব্যবহার করবে, সেভাইে কাজ করবে এটি। এছাড়া প্রযুক্তির কারণে ব্যবসায় অনেক ক্ষেত্রও প্রস্তুত হয়ে যাবে। বর্তমানে প্রযুক্তি প্রতিটি মানুষের জন্যই সমান সুযোগ এনে দিয়েছে। ফলে প্রযুক্তি যদি যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এটা সবার জন্যই কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ নরওয়ের মার্কেট বিজনেসের ডিরেক্টর ড. আমের ফরিদ বলেন, বাংলাদেশকে টেকসই উদ্ভাবন ও ব্যবসার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তার বিপুল জনসংখ্যাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। কারণ কোনো দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন ভীষণ জরুরি। এছাড়া কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে আরো উপকৃত হওয়া যায়, সেজন্য বাংলাদেশকে বিশেষভাবে জোর দিতে হবে।
এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মাইনুদ্দিনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।