মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রযুক্তি পণ্য রফতানি দুটোই বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে চীনা টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে। তবে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে ওয়াশিংটনের আগ্রহ থাকায় কয়েকটি মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড অব ডিরেক্টর ভিনসেন্ট প্যাং এ তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ সরবরাহের পথ খুলবে বলে মনে করছেন টেক বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।
ওয়াশিংটন সফর শেষে ভিনসেন্ট প্যাং জানান, কয়েকটি মার্কিন কোম্পানি হুয়াওয়ের কাছ থেকে প্রযুক্তি পণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। হুয়াওয়েও চায় প্রতিশ্রুতিশীল এ বাজারে আরো অবদান রাখতে। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই কয়েকটি মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এসব কোম্পানির জন্য লাইসেন্স ইস্যু করা হলে তারা হুয়াওয়ের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ চুক্তি করবে।
তবে কোন কোন মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হুয়াওয়ের আলোচনা চলছে এবং তারা কী ধরনের পণ্য নিতে আগ্রহী, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ভিনসেন্ট প্যাং। টেক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে যেসব কোম্পানি কাজ করছে, তারাই হুয়াওয়ের কাছ থেকে নেটওয়ার্ক পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে। কেননা এ খাতের প্রয়োজনীয় পণ্য নকিয়া কিংবা এরিকসনের কাছ থেকে কিনতে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। হুয়াওয়ের কাছ থেকে এসব কোম্পানি তুলনামূলক সস্তা দামে পণ্য কিনতে পারবে।
চলতি বছরের মে মাসে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে হুয়াওয়ের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে স্মার্টফোন তৈরির যন্ত্রাংশ কেনা বন্ধ হয়ে যায় হুয়াওয়ের। অন্যদিকে হুয়াওয়ের কাছ থেকেও মার্কিন কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্য কিনতে সমস্যায় পড়ে।
এ অবস্থায় কয়েকটি মার্কিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হুয়াওয়ের পণ্য কিনতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। আবেদনের জের ধরে কয়েকটি কোম্পানিকে হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা চালু রাখতে বিশেষ লাইসেন্স প্রদানের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন। শিগগিরই এ লাইসেন্স প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর।