চট্টগ্রাম নগরীতে এক সপ্তাহ আগে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে মোবাইল চার্জার বিষ্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ওই সময় মারা যায় তাদের ছেলে। এদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে থাকল না।
গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর ডবলুমুরিং থানার মোল্লাপাড়ায় নিরিবিলি আবাসিক এলাকার আলী ভূঁইয়া বাড়ি নামে একটি দোতলা ভবনের নিচ তলায় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটেছিল।
দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর শিকার চারজন হলেন- আমির হোসেন (৩২), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫) ও আনিকা (৮) এবং আশরাফুল (৫)। এদের মধ্যে আশরাফুল ঘটনার দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মৃত আমির হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামে। গত ১৫ অক্টোবর আমির ভাড়া বাসাটিতে পরিবার নিয়ে উঠেছিলেন।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, আশরাফুলের মৃত্যুর পর দগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে আমির ও সন্ধ্যায় আনিকা মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে মারা যান আমিরের স্ত্রী খালেদা।
পুলিশ পরিদর্শক জহির বলেন, ‘গত ১৮ অক্টোবর রাতে খালেদা মোবাইলের চার্জার লাগানোর সময় শর্টসার্কিট হয়ে চার্জারটি বিষ্ফোরিত হলে তার চুলে আগুন লাগে।এ সময় ছেলে আশরাফুল মাকে বাঁচাতে গেলে সেও দগ্ধ হয়। একইভাবে আমির ও তার মেয়েও বাঁচাতে গিয়ে অগ্নি দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।’
তিনজনের মরদেহ স্বজনেরা গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।