মহাকাশে যাচ্ছে বিলাসবহুল স্পোর্টস কার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বরগিনি। যারা গাড়ির সাম্প্রতিক সব গবেষণা নিয়ে খোঁজখবর রাখেন তারা হয়তো বলবেন, আচ্ছা ল্যাম্বরগিনি, এ আর এমন কী? টেসলাও তো মহাকাশে গাড়ি পাঠিয়েছে।
তবে টেসলা প্রধানের মতো হামবড়া ভাব নিয়ে “আমি ইলন মাস্ক এবং আমি আমার গাড়ি মহাকাশে পাঠাবো”– এমন কোনো কিছু করছে না ল্যাম্বরগিনি। বরং তাদের বলার ধরন অনেকটাই বিনয়ী।
আন্তার্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ল্যাম্বরগিনি কার্বন ফাইবার পাঠাবে পরীক্ষার জন্য। এ পরীক্ষায় তাদের সঙ্গী হিউস্টন মেথোডিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল– বলা হয়েছে সিনেটের প্রতিবেদনে।
ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কার্বন ফাইবার। ল্যাম্বরগিনিসহ বিভিন্ন বিলাসবহুল গাড়ির চেসিস তৈরি হচ্ছে কার্বন ফাইবার দিয়ে, নাসার শাটল স্পেসশিপগুলোর ডানায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার। এখন মহাকাশের চরম বিরূপ পরিবেশে নানাভাবে পরীক্ষা করা হবে এই কম্পোজিট উপাদান। এই পরীক্ষা থেকে পাওয়া ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে জানা যেতে পারে ভবিষ্যতের সুপারকার আর চিকিৎসা সরঞ্জামে ব্যবহারের জন্য কার্বন ফাইবারের ব্যবহার কেমন হতে পারে।
ইতালিয়ান এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সিইও স্টেফানো ডমেনিকালি বলেন, “আমরা গর্বিত। গাড়ি নির্মাতা প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরাই এই যুগান্তকারী পরীক্ষাটি চালাবো।”
“এটা যে কেবল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয় তা নয়। পুরো বিষয়টি ল্যাম্বরগিনির দর্শনের সঙ্গেও যায়। ল্যাম্বরগিনি এমন একটি ব্র্যান্ড যে সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রমের জন্যই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কার্বন ফাইবার নমুনাগুলো আইএসএস-এ ছয় মাস রাখা হবে। এই সময়ে সব ধরনের মহাজাগতিক বিকিরণ এবং তাপমাত্রার ওঠানামার তীব্রতাসহ নানারকম চরম পরিবেশে উন্মুক্ত থাকবে উপাদানগুলো।
ওই ছয় মাস পর ফেরত এলেই কেবল বলা যাবে নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য দেখায় কি না কার্বন ফাইবার।