মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কগনিজ্যান্ট প্রায় ১৩ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ব্যয়সংকোচনের মাধ্যমে ‘২০২০ সালে প্রবৃদ্ধিমুখী প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে কগনিজ্যান্টকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্রায়ান হামফ্রিস। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, লাইভ মিন্ট।
গত বুধবার কোম্পানির আয়-ব্যয় নিয়ে বিশ্লেষকদের সামনে দেয়া এক বক্তব্যে হামফ্রিস বলেন, আগামী কয়েক প্রান্তিকের মধ্যে কোম্পানির মধ্য ও জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের প্রায় ১৩ হাজার সহকর্মীকে বিদায় দেয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কগনিজ্যান্ট।
এ ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির পাঁচ-সাত হাজার পদ থেকে লোক চাকরি হারাবে, যা কোম্পানির মোট জনবলের ২ শতাংশ। প্রযুক্তি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছাঁটাইয়ের বিপরীতে প্রায় পাঁচ হাজার লোককে পুনঃপ্রশিক্ষিত এবং পুনঃদায়িত্ব বণ্টন করা।
কগনিজ্যান্টের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানির রাজস্ব এসেছে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। জুন প্রান্তিকে কোম্পানির রাজস্ব ছিল ৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি কোম্পানির নিট আয় হয়েছে ৪৯৭ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই প্রান্তিকে আয় ছিল ৪৭৭ মিলিয়ন ডলার। এবং আগের প্রান্তিকে আয় করেছিল ৫০৯ মিলিয়ন ডলার।
এখন কোম্পানির পুনর্গঠন পরিকল্পনার আওতায় ব্যয়সংকোচনসহ অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে বার্ষিক রাজস্ব লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। চলতি বছর কোম্পানির রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ থেকে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কগনিজ্যান্টের সিইও ব্রায়ান হামফ্রিস বলেন, কয়েক মাস ধরেই আমরা কোম্পানিতে কৌশলগত পরিবর্তন এনেছি। আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আরো উন্নত করতে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আজকে আমাদের সরল পরিচালন রূপরেখা এবং ব্যয়সংকোচন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। প্রবৃদ্ধির সহায়ক বিনিয়োগে যা কাজে লাগবে।
কগনিজ্যান্টের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে কোম্পানির সাশ্রয় হতে পারে ১৫০-২০০ মিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে বার্ষিক এ সাশ্রয় ৫০০ থেকে ৫৫০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কগনিজ্যান্ট কনটেন্ট মডারেশন ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ সবচেয়ে কর্মিঘন খাত এটি। বিশ্বব্যাপী ছয় হাজার কর্মী এ খাতে কাজ করেন। ফেসবুকের কনটেন্ট যাচাইয়ের কাজ করেন এসব কর্মী। আর সাত হাজার কর্মী ছাঁটাই হবে ক্লাউড ও আইওটির মতো প্রবৃদ্ধিমুখী ব্যবসা থেকে।