এবার আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা ফাইভ জি চালু করেছে চীন। ফাইভ জি’র বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিনটি মোবাইল অপারেটর। ফাইভ জি সেবার মধ্য দিয়ে চীনের অর্থনীতিতে আমুল পরিবর্তন আসবে বলে আশা বিশ্লেষকদের।
ঝকঝকে ছবি স্পষ্ট শব্দের ভিডিও কল, আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন ভিডিওর পাশাপাশি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেম, মুহূর্তেই যে কোন বড় ফাইল ডাউনলোড বা আপলোড; ফাইভ জি’র কল্যাণে সবই এখন হাতের মুঠোয়। বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ফাইভ জি’র যাত্রার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল চীন।
চীনের মোবাইল অপারেটর চায়না মোবাইল, চায়না ইউনিকম ও চায়না টেলিকম তাদের ফাইভ জি’র ডাটা প্ল্যান উন্মুক্ত করেছে। বেইজিংয়ে চলমান পিটি এক্সপো চায়না ২০১৯ এ বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গ্রাহকদের কাছে ফাইভ জি’র বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তুলে ধরে মোবাইল অপারেটর গুলো।
চায়না ইউনিকম কর্মকর্তা ইয়িন শাওচান বলেন, ‘আমাদের স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন প্যাকেজ বুকের সুবিধা রেখেছি। আগামী তিন বছরের জন্য আমরা ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি।’
চায়না মোবাইল কর্মকর্তা শোও জিয়ানজুও বলেন, ‘আগামী বছর ২শ ৮৪ মার্কিন ডলারের মধ্যে আমরা ফাইভ জি মোবাইল দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। এরপর ১শ ৪২ ডলারের মধ্যে তা দিতে পারব বলে আশা করি।’
এর আগে চলতি বছর ফাইভ জি সেবা উন্মুক্ত করে দক্ষিণ কোরিয়া, ওয়াশিংটন এবং যুক্তরাজ্য। চীনে মূলত আগামী বছর ফাইভ জি’র উদ্বোধন করার কথা থাকলেও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সেবা চালু করল বেইজিং।
বর্তমানে বেইজিং, শাংহাইসহ ৫০টি শহরে ফাইভ জি সেবা চালু করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ প্রায় দেড় লাখ ফাইভ জি স্টেশন স্থাপনের কথা জানিয়েছে চীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফাইভ জি সেবার মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে চীনের অর্থনীতিতে। প্রযুক্তিতে এমনিতেও বেশ এগিয়ে চীন। আর পঞ্চম প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক সেবার কারণে সামাজিক ও বৈশ্বিক উন্নতির পাশাপাশি আরো বেগবান হবে উন্নয়নশীল চীনের অগ্রগতি।
এছাড়াও শিক্ষা কার্যক্রম, দৈনন্দিন জীবন, যোগাযোগ ব্যবস্থাও আরো সহজ করবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক, এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ চীনাদের। চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলোজির সমীক্ষা বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ফাইভ জি মোবাইল খাত থেকে এক ট্রিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার আয় করতে সক্ষম হবে চীন।