সম্প্রতি ফিলিপাইনের তৃতীয় সেলফোন অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে ডিআইটিও টেলিকম। বাজারটিতে কার্যক্রম শুরুর প্রথম বছরেই ৩০ শতাংশ দখলে নিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এরই অংশ হিসেবে মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ৬০০ কোটি ডলার নির্ধারণ করেছে ডিআইটিও টেলিকম। খবর টোটাল টেলিকম।
ডিআইটিওর এক বিবৃতিতে বলা হয়, কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই আমরা ফিলিপাইনের মানুষের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাচ্ছি। আমাদের সেবাগুলো সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে। যুগোপযোগী সেবা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই অংশ হিসেবে কার্যক্রম শুরুর পর পরই আমরা পূর্বনির্ধারিত বিনিয়োগের অংকটা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ফলে আরো উন্নত টেলিকম সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
ডিআইটিও টেলিকম আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মিসলাটেল’ নামে পরিচিত। ফিলিপাইনের টেলিযোগাযোগ খাতে গ্লোব টেলিকম ও পিএলডিটি দীর্ঘদিন ধরেই দ্বৈত আধিপত্য বিস্তার করে আছে। গত বছর এ দুই অপারেটরের দ্বৈত আধিপত্য বা ডুওপলি বাজার অবসান এবং টেলিকম সেবা ব্যবহারকারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে তৃতীয় সেলফোন অপারেটরের অনুমোদন দেয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের শুরুর দিকে বিদ্যমান দুই অপারেটরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ডিআইটিও টেলিকম। ডেনিশ একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান এবং চায়না টেলিকম যৌথভাবে ডিআইটিও গঠন করে ফিলিপাইনের তৃতীয় সেলফোন অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় ফিলিপাইনের টেলিকম খাতে তৃতীয় সেলফোন অপারেটর হওয়ার প্রস্তাব করেন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দেশটির তৃতীয় সেলফোন অপারেটর হতে আগ্রহ
প্রকাশ করেছে অন্তত ১২টি কোম্পানি। এর মধ্যে পাঁচটি স্থানীয় এবং সাতটি বিদেশী কোম্পানি ছিল।
ফিলিপাইনের টেলিকম আইন অনুযায়ী বিদেশী কোনো কোম্পানি দেশটিতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী সেলফোন অপারেটরের পুরো মালিকানায় থাকতে পারবে না। বিদেশী কোম্পানি সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ মালিকানা রাখতে পারবে। অর্থাৎ স্থানীয় কোনো কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব ছাড়া বিদেশী কোম্পানির পক্ষে ফিলিপাইনে এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত দেশটির তৃতীয় সেলফোন অপারেটর হতে নিলাম জিতে ডেনিশ ও চায়না টেলিকম মিলে গঠিত কনসোর্টিয়াম।