দেশব্যাপী চলছে মার্সেল ফ্রিজের ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর আওতায় শীত উৎসবে মার্সেল ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে আরেকটি নতুন ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
সম্প্রতি মার্সেল ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে আরেকটি নতুন ফ্রিজ ফ্রি পেয়েছেন দুই জন ক্রেতা। এরা হচ্ছেন সাভার নবীনগরের গৃহিণী নাছিমা আক্তার এবং মাদারীপুর সদরের ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. শহীদ হাওলাদার। একটি ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ায় তারা মহাখুশি।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাক্সিক্ষত সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকরা। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতেই উইন্টার ফেস্টিভ্যালের আওতায় ক্রেতাদের ফ্রি ফ্রিজসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি সাভার নবীনগরে মার্সেলের পরিবেশক ‘চৌধূরী ট্রেডার্স’ এর সাব ডিলার ‘ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ২৪৪ লিটারের একটি রেফ্রিজারেটর কেনেন নাছিমা আক্তার। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে সেটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই মার্সেল আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। একটি ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ায় নাছিমার পরিবারে বইছে খুশির বন্যা।
১০ নভেম্বর নাছিমা আক্তারের পক্ষে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খানের হাত থেকে ফ্রি পাওয়া ফ্রিজটি গ্রহণ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের হেড অব সেলস ড. সাখাওয়াত হোসেন, আশুলিয়ার ডিইপিজেড রোডে মার্সেলের পরিবেশক ‘চৌধুরী ট্রেডার্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী ইউসুফ আলী চৌধুরী এবং ডেন্ডাবর ‘ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স’ শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল।
এদিকে মাদারীপুর পাতিলাদীতে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে আরো একটি ফ্রি পেয়েছেন মো. শহীদ হাওলাদার। পেশায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহীদ বিয়ে করেছেন মাস তিনেক আগে। নতুন সংসারের জন্য মার্সেলের পরিবেশক ‘নুসরাত ইলেকট্রো হাউস’ থেকে ৩২ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কিনেন শহীদ। এরপর তা রেজিস্ট্রেশন করতেই পেয়ে যান আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি। নতুন সংসারে এক সঙ্গে দুটি ফ্রিজ আসায় তিনি এখন মহাখুশি।
৭ নভেম্বর চিত্রনায়ক আমিন খানের কাছ থেকে ফ্রি পাওয়া ফ্রিজটি গ্রহণ করেন ক্রেতা শহীদ হাওলাদার। সেসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূঁইয়া, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান আক্তার হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন সেলিম, পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ গৌরা, ‘নুসরাত ইলেকট্রো হাউস’ এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল মান্নান হাওলাদার।
ক্রেতা শহীদ হাওলাদার বলেন, ‘দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল ফ্রিজ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি দামও কম। ভালো সার্ভিস দেয়। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বেশিরভাগই মার্সেল ফ্রিজ ব্যবহার করছেন। তাদের ফ্রিজগুলো খুব ভালো চলছে। তাই, আমিও নতুন সংসারের জন্য মার্সেলের ফ্রিজ কিনলাম।’
কর্মর্তারা জানান, মার্সেলের রয়েছে শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ডিরেক্ট কুল বা ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার। ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, বিএসটিআই’র ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং এবং স্থানীয় আবহাওয়ার উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে মার্সেল ফ্রিজ ক্রেতা পছন্দের শীর্ষে।
মার্সেল ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মার্সেলের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে মার্সেলের রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্ট। এছাড়াও রয়েছে ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা।