অবশেষে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হলো। সরকার বেসরকারি পর্যায়ে তৃতীয় ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন্স ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এর অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার (২১ নভেম্বর) ‘বাহন’নামের নতুন এই এনটিটিএন’র অনুমোদন দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর)ইস্পাহানি গ্রুপের বিবিটিএস, অগ্নি, ভেনাসসহ আরও কয়েকটি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাহন লিমিটেডের লাইসেন্সের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ও খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন এই লাইসেন্স প্রদানের মধ্য দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানে সমতাে আসবে। একইভাবে বেসরকারি পর্যায়ে আরেকটু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হলো বলে মনে করছেন তারা।
এতোদিন ফাইবার অ্যাট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিডেট একক ভাবে বেসরকারি ভাবে বাণিজ্যিক ভাবে দেশেজুড়ে ইন্টারনেট পরিবহনের নেটওয়ার্ক দিয়ে যাচ্ছিল। পাশপাশি বাংলাদেশ টেলিকমিউনেকেশন্স কোম্পানি লিমিডেট (বিটিসিএল), রেলওয়ে এবং পিজিসিবি সরকারি পর্যায়ে এই নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, টেলিযোগাযোগের অবকাঠামোগত কাজে শৃঙ্খলা আনতে সরকার ২০০৯ সালে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এনটিটিএন লাইসেন্স দেয়। নীতিমালা অনুসারে এই লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন বা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স পেতে প্রতি প্রতিষ্ঠানকে এককালীন তিন কোটি টাকা এবং প্রতিবছর নবায়নের জন্য ২৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। এ সব শর্তে লাইসেন্স নেয় ফাইবার এট হোম ও সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।