স্মার্টফোনে ফোল্ডিংই যেন চলতি ধারা। স্যামসাং দেখাল, হুয়াওয়ে দেখাল, রেজর ফিরিয়ে আনল মটোরোলা। ভাঁজভুজের মধ্যে না গিয়ে এলজি হাঁটছে ভিন্ন পথে। সম্প্রতি তাদের দাখিল করা এক পেটেন্টের আবেদন ছড়িয়ে পড়েছে।
ডাচ সংবাদমাধ্যম লেটস গো ডিজিটালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অফিসের মোবাইল ফোনের নকশা জমা দিয়েছে এলজি। ১৫ নভেম্বর তা প্রকাশ করা হয়। বিবরণ ও ছবি দেখে বলা যায়, এলজির ফোনে ভাঁজ খোলার বদলে আড়াআড়িভাবে টেনে পর্দা বড় করা যাবে। অন্যভাবে বললে, স্মার্টফোন টেনে ট্যাবলেট বানিয়ে ফেলা যাবে।
এই প্রযুক্তির কেরামতি মূলত নমনীয় পর্দা মুড়িয়ে রাখার মধ্যে। তাতে অবশ্য ট্যাবলেট আকারে ব্যবহারের সময় মাঝের অংশ অত্যন্ত পাতলা হওয়ার কথা। আর স্মার্টফোন আকারে প্রস্থের তুলনায় দৈর্ঘ্য একটু বেশি হবে।
পর্দা মুড়িয়ে রাখার প্রযুক্তি এর আগেও দেখিয়েছে এলজি। ওএলইডি টিভি আর (৬৫আর৯) মডেলে টিভির পর্দা নিজে নিজে মুড়িয়ে নিচের বাক্সে ঢুকে যেত। কিছুটা শাটার দরজার মতো। তবে নিচের দিকে। ফোনের যে নকশা এলজি পেটেন্ট করেছে, তা নিয়ে সত্যি যদি এগিয়ে থাকে, তবে মানুষের হাতেও মুড়িয়ে রাখার পর্দার প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে চাইছে এলজি। নতুন ফোনটির সম্ভাব্য নাম ফ্লেক্স, ফোল্ডি বা ডুপ্লি হতে পারে।
নমনীয় পর্দার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অত্যধিক দাম। ওএলইডি টিভি আর-এর দাম এখনো জানায়নি এলজি। অনুমানের কাঁটা ১৫ থেকে ৫০ হাজার ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে। টিভির জন্য পরিমাণটা বেশিই হয়ে যায়। এলজির ফোনের বেলায় কী হবে, তা-ও বলার সুযোগ নেই আগেভাগে।
তবে ধারণাটি কিন্তু চমৎকার। আরেকটা ব্যাপার হলো, স্যামসাং বা মটোরোলার পথে না হেঁটে প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করছে। পেটেন্টের বই থেকে এলজির ফোনটি আলোর মুখ দেখবে কি না, তা বাজারে আসার আগে বলা সম্ভব নয়। সূত্র: টিথ্রি