ল্যাপটপ মানেই বড়সড় একটা খরচের প্রশ্ন। সেই খরচের পর যন্ত্রটি আপনি যতটা সম্ভব লম্বা সময় ভালোভাবে ব্যবহার করতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এটি চাইলে কী কী করা থেকে বিরত থাকতে হবে, তার একটি তালিকা জেনে নিতে পারেন রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিবেদন থেকে।
ল্যাপটপ ‘লেপের’ ভেতর নয়: ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় সমতল বিছানায় রাখা ঠিক নয়। এতে তাপ বের হতে পারে না। কম্পিউটার রিপেয়ার ডিরেক্টর অ্যারশন সুলশার বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের ব্রেন। সত্যিকার অর্থে এটি অনেক অনেক গরম। অধিকাংশ সময় ল্যাপটপের ফ্যান নিচের দিকে থাকে, যেখানে ছোট তাপ নির্গমন ব্যবস্থা কিংবা বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকে। সেটি যদি আটকানো থাকে, তবে তাপ বের হতে পারে না। তখন অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হতে পারে।’
বন্ধ না করা: প্রতিবার ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ টার্নঅফ না করলে ক্ষতি হয়। এতে আপনি আপডেট তো পাবেনই না, যন্ত্রটি নিজেও বিশ্রাম পাবে না। যাদের ল্যাপটপ বিশেষ কারণে সবসময় চালু রাখতে হয়, তারা সপ্তাহে কমপক্ষে একবার শাটডাউন করে নেবেন।
স্ক্রিন ধরে বহন করা: খোলা ল্যাপটপের স্ক্রিন ধরে বহন করা খুব সহজ। এই সহজ কাজটি করতে গিয়ে আপনার ল্যাপটপের ক্ষতি হতে পারে। স্ক্রিনের সঙ্গে অনেক ধাতব পদার্থ থাকে, যেগুলো বেশ শক্ত। কিন্তু বহন কিংবা নাড়াচাড়া করলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনেক প্রোগ্রাম একসঙ্গে চালু রাখা: এটি করলে ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়। আপনার উইন্ডোজ ল্যাপটপ স্লো হয়ে গেলে Ctrl + Shift + Esc প্রেস করে Task Manager’এ যান। স্টার্ট-আপ ট্যাব থেকে দেখুন কী কী অ্যাপ ওপেন আছে, স্টার্টআপ টাইমের সময় সেটি কীভাবে প্রভাব ফেলছে দেখুন। যেটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে না চান সেটি “Disable” এ ক্লিক করে অফ করে দিন। এর মানে এটা না যে আর কাজ করবে না। এর অর্থ হল প্রোগ্রামটি আপনাকে পরে ম্যানুয়াল ওপেন করে নিতে হবে।
ডেটা না সরানো: অপ্রয়োজনীয় ডেটা কম্পিউটারে রেখে দেওয়া মানে বোকামি। যেটা প্রয়োজন নেই, সেটি ল্যাপটপ থেকে ডিলিট করে দেওয়া ভালো।
অনেক ট্যাব ওপেন রাখা: এক সঙ্গে ৪০-৫০টা লিংকের ট্যাব যাদের খুলে রাখার অভ্যাস, তাদের ল্যাপটপ কম দিন যায়। আপনার প্রসেসর যত লিংকের জন্য কাজ করবে, তত তাকে তাপ উৎপন্ন করে যেতে হয়। এমনটি হলে ল্যাপটপের আয়ু কমে।