স্মার্ট ডিভাইস ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে আগামী ৩ বছরে ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। ১০ ডিসেম্বর চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত ‘অপো ইনো ডে’-তে এই বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা করেন অপো’র প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী টনি চ্যান।
কেবল স্মার্টফোন নয়, ইনটেলিজেন্ট কানেক্টিভিটির অংশ হিসেবে স্মার্ট ডিভাইস ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। এই লক্ষ্যে স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট হেডফোন, ৫জি সিপিই, অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস, ফ্ল্যাশ চার্জিং, ৫জি ইমেজিং এবং সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনে গুরুত্ব প্রদান করবে অপো।
অপো’র প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী টনি চ্যান বলেন, “যাত্রার শুরু থেকেই কেবল স্মার্টফোন নির্মাণ নয়, সামগ্রিকভাবে প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে অপো। অপো’র ক্ষেত্রে স্মার্টফোন কেবল প্রযুক্তি বিশ্বের যাত্রা শুরুর প্রথম পদক্ষেপ। শুধু অপো নয়, বিশ্বের কোনো কোম্পানিই সত্যিকার অর্থে নিজেদের কেবল স্মার্ট নির্মাণে আবদ্ধ না রেখে স্মার্ট ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে”।
তিনি আরও জানান “আগামী ৩ বছরে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ৫জি, ৬জি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, বিগ ডাটা এবং স্মার্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে অপো।”
মূলত তিনটি ধাপে বিনিয়োগ করতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে সবচেয়ে গুরুত্ব প্রদান করবে অপো। পর্যায়ক্রমে ইনটেলিজেন্ট ডিভাইস সমূহের সাথে স্মার্টফোনের সংযোগ ঘটাতে মাল্টিপোর্টাল ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তীতে কন্টেন্ট এবং ইউজার সার্ভিস নিয়ে কাজ করবে অপো।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান এবং অপো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট লেভিন লিউ বলেন, “৫জি প্রযুক্তির বহুল প্রচলনকে সামনে রেখে ভবিষ্যতের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করবে অপো। প্রযুক্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাসমূহের মেলবন্ধন তৈরি করার লক্ষ্যে সরঞ্জাম, ডাটা, কম্পিউটিং, সার্ভিস এবং সিনারিও এই ৫টি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করবে অপো।”
অপো ইনো ডে’তে জানানো হয়, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকেই বাজারে আসতে চলেছে অপো স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট ওয়্যারলেস হেডফোন এবং ৫জি সিপিই।