প্রচলিত সাধারণ কম্পিউটারে যে হিসাব করতে শত শত বছর লাগে, তা কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সেকেন্ডের মধ্যেই সেরে ফেলা সম্ভব। কিন্তু কোয়ান্টাম ডিভাইস তৈরিতে এর যন্ত্রপাতির সঙ্গে অসংখ্য তারের ব্যবহার বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে। তবে গত সোমবার চিপ নির্মাতা ইনটেল ঘোষণা দিল তাদের ব্যবহার পরিবর্তন করে ফেলতে পারবে তারা।
তারা ‘হর্স রিজ’ নামের এমন একটি চিপ তৈরি করেছে, যাতে তারের সব কাজ হয়ে যাবে এবং তা আকারে খুবই ছোট।
দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ব্যবহার হতে এখনো অনেক দেরি। তবে এ প্রযুক্তিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। গত অক্টোবরে গুগলের গবেষকেরা এমন একটি যন্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন, যা প্রচলিত কম্পিউটারের সক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে। এর বাইরে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) ও মাইক্রোসফট কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে।
ইনটেল মূলত কোয়ান্টাম ক্ষেত্রে দুই ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দুটি পদ্ধতিতেই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কোর গঠনের বিষয়টি পরীক্ষা করা হয়। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় অংশ মূলত ‘কিউবিটস’ পদ্ধতিতে কাজ করে। অনেক কোয়ান্টাম কম্পিউটারে কিউবিটসে খুব শীতল রাখতে হয়। বিশেষ রেফ্রিজারেটরে এমনভাবে রাখতে হয়, যেখানে পরমাণুর ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে যায়। তারের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে বা গ্রহণ করতে কিউবিটের সঙ্গে সংযুক্তির বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন। বেশির ভাগ তার ও ইলেকট্রনিকস বিশেষ রেফ্রিজারেটরের বাইরে থাকতে হবে।
ইনটেলের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনের সবচেয়ে শীতল জায়গার নাম অনুযায়ী তাদের চিপের নাম রাখা হয়েছে। তারা এ চিপ এমনভাবে তৈরি করেছে, যাতে কোয়ান্টাম রেফ্রিজারেটরের ভেতরে স্থাপন করা যায়। এর ফলে ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার বাস্তবে তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
ইনটেলের কোয়ান্টাম হার্ডওয়্যারের পরিচালক জিম ক্লার্ক বলেছেন, তাঁদের তৈরি কোয়ান্টাম কন্ট্রোল বিষয়টি ধাঁধার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ছিল। বড় আকারের বাণিজ্যিক কোয়ান্টাম সিস্টেম তৈরি করতে গেলে এ সমস্যার সমাধান করা জরুরি ছিল।