ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একবিংশ শতাব্দির পরিবর্তিত বিশ্বে উন্নয়নের মূল ভিত্তি হচ্ছে ডিজিটাল সংযুক্তি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংযুক্তির কোন বিকল্প নেই। পরিবর্তনের এই অনিবার্য ধারাবাহিকতায় টেলিকম সাংবাদিকতার কৌশলও পাল্টে গেছে। তিনি বলেন, কলমের জায়গা দুনিয়াতে কেউ দখল করতে পারবে না। জনগণের সাথে সম্পর্ক তৈরিতে কলমের ভূমিকা বেশী থাকবে।
টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সভাপতি সাংবাদিক মুজিব মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল আনোয়ার শিপু এর নেতৃত্বে সংগঠনের ১৫ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ পৃথিবীতে নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম ধাপটি বাস্তবায়িত হবে। এর পর দুরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ, ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উপলক্ষে পরিকল্পনা এবং ২১০০ সালে বদ্বীপ পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
মন্ত্রী বলেন, টেলিকম খাত বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য খাত। দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অন্যতম মূল ভিত্তি। চারলেন বা ৬ লেন মহাসড়কের মতই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সড়ক নির্মাণ করতে পারছি কিনা। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ফাইভজি প্রযুক্তি। তিনি বলেন, ফাইভজি এমন একটি প্রযুক্তি যা বস্তুত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটাবে। আর এই প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের এগিয়ে যাওয়া ব্যাহত করতে পারে। এই ব্যাপারে আমাদের সতর্কতার সাথে এগুতে হবে। আমরা আর কোন শিল্প বিপ্লব মিস করতে চাই না। যে কোন মূল্যে আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সফল করতেই হবে। এরই ধারাবহিকতায় ২০১৮ সালে ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ফাইভজি বাস্তবায়নের পথ নকশা প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফাইভজিকে আমরা এখনো মানুষের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারিনি। এটি টুজি, থ্রিজি বা ফোরজির মত কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার প্রযুক্তি নয়। এ বিষয়টি জনগণের মধ্যে স্পষ্ট করা এবং এর গুরুত্ব ও ব্যাপ্তি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে টেলিকম সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষে আগামী মাসে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশে এই প্রথম বারের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে টিআরএনবি নেতা সাংবাদিক সজল জাহিদ, রাশেদ মেহেদী, শামীম আহমেদ, তারেক মোরতাজা, শাহেদ সিদ্দিকী,ফারুক হোসাইন, মোহাম্মদ শামীম, শাহিদ বাপ্পি, আল-আমীন দেওয়ান, কাজী সোহাগ, ইসমাইল হোসেন, এসএম কামরুল ইসলাম এবং এইচ এম মোর্তুজা উপস্থিত ছিলেন।