কয়েক বছর ধরেই ফ্ল্যাগশিপের বাজারে নির্দিষ্ট কয়েকটি মডেলের ফোন দখল করে আছে। তীব্র প্রতিযোগিতার এই বাজারে ফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো টিকে থাকতে কোন কোন ফিচারকে গুরুত্ব দেবে তা নিয়েই থাকছে এবারের আয়োজন।
মেগাপিক্সেল
সম্প্রতি ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ফোনগুলো মাঝারি দামেই মিলছে। ইতোমধ্যে স্যামসাং ১০৮ মেগাপিক্সেল সেন্সর তৈরি করেছে। আগামী বছরের প্রথমভাগেই ১০৮ মেগাপিক্সেলসহ বেশ কয়েকটি ক্যামেরা বাজারে আসবে। তাই বছর শেষে স্মার্টফোনের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা নিয়ে থাকবে না আর উন্মাদনা। যদিও স্যামসাং ১৪৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা তৈরির কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও কোয়ালকমের নতুন স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ প্রসেসর ২০০ মেগাপিক্সেলের সেন্সর সাপোর্ট করবে।
অটো-ফোকাস
ভালো ছবি তোলার ক্ষেত্রে অটো-ফোকাস বড় ভূমিকা রাখলেও ক্রেতারা এটা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না। ফিচারটি চলন্ত কোনো কিছুর ছবি, ভিডিও রেকর্ডিং ও ল্যান্ডস্কেপ ছবি তুলতে বেশ কাজে লাগে। ইতোমধ্যে ২×২ অন চিপ লেন্স (ওসিএল) সেন্সর তৈরি করেছে সনি। যা অল পিক্সেল অটো-ফোকাস নামেও পরিচিত। এই সেন্সর আগামী বছরের হাই-ইন্ড ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে।
৮কে ভিডিও ও সুপার স্লো-মোশন
৯৬০ ফ্রেম পার সেকেন্ড বা ৮কে ভিডিও স্মার্টফোনের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে এগুলো এখনো তেমন জনপ্রিয় হয়নি। আগামী বছর ৪কে রেজুলেশনে ১২০ ফ্রেম পার সেকেন্ডে ৪ গুণ বেশি স্লো মোশনে ভিডিও করা যাবে। স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ প্রসেসরটি ৭২০ পিক্সেল রেজুলেশনে ৯৬০ ফ্রেম পার সেকেন্ডে ভিডিও করার সুবিধা দেবে।
আগামী বছর মেইন ক্যামেরা ও টেলিফটো লেন্সের মানের পার্থক্য কমার সঙ্গে সঙ্গে এআই ক্যামেরার চাহিদা থাকবে। দৃশ্যভেদে ছবিতে রঙের তারতম্য করতে স্মার্টফোনের ক্যামেরায় এআই প্রসেসিং ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।