ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশকে রূপান্তরের বড় শক্তি। ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের জন্য ডিজিটাল উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ্ও রোবটিক শিক্ষা প্রদানে কাজ করছি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় উদ্যোক্তা বিষয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নিজের বলার মতো একটা গল্প শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষের একটি গল্প আছে। প্রতিটি জাতির গল্প আছে। ২০২০ সালের বাংলাদেশ পৃথিবীর অনুকরণীয় – অনুসরণীয় একটি গল্প। ২০০৮ সালে ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরেই বাংলাদেশ গত এগারো বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধি, মাথা -পিছু আয়, গড় আয়ু এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধি থেকে শুরু করে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার, অনলাইন ইন্টারনেট চালু করেছিলেন এবং মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত এগারো বছরে দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তরুণদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবন অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষদের একজন।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কর্নধার ইকবাল বাহার, প্রবাসি উদ্যোক্তা আশা আক্তার এবং মো: সেলিম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের প্রতিটি জেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ জনেরও বেশী প্রবাসি বাংলাদেশি উদ্যোক্তা অংশ গ্রহণ করে।