মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গর্ব করে বলেছেন, ফেসবুকে তিনিই ১ নম্বর। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ তাঁকে এ কথা বলেছেন। সম্প্রতি ফেসবুকের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার সময় এসব কথা জেনেছেন বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, রাতের খাবার খাওয়ার সময় জাকারবার্গ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলছেন যে বৈশ্বিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে তিনিই ১ নম্বর।
সোমবার রেডিও টক শোতে অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা বললেও কবে জাকারবার্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সে কথা বলেননি।
ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, জাকারবার্গের সঙ্গে ট্রাম্পের সর্বশেষ রাতের খাবার খাওয়ার সময়টা ছিল অক্টোবর মাসের দিকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রশংসা করে রেডিও টক শোর উপস্থাপক রাশ লিমবাউকে ট্রাম্প বলেন, টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্ম না থাকলে নির্বাচনে তিনি হেরে যেতেন। টুইটারে তাঁর ৭ কোটি অনুসারী রয়েছেন। তিনি পেশাদার সংবাদমাধ্যমের চেয়ে টুইটারকে বেশি প্রাধান্য দেন। কারণ, তিনি গণমাধ্যমকে একপেশে বলে মনে করেন। ট্রাম্প বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে প্রকৃত সত্য বিষয়টি তিনি বের করে আনতে পারতেন না।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ভুয়া খবর ও তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছে। ট্রাম্প নিজেই বারবার ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার করে অসত্য বিবৃতি ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করেছেন।
ফেসবুক ও টুইটারের পক্ষ থেকে রাজনীতিবিদদের প্রকাশ করা ভুয়া তথ্য বা বিবৃতি সরিয়ে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। এসব প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এগুলো খবর বা কনটেন্টের উৎস।
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার দিক থেকে অবশ্য ট্রাম্প ১ নম্বরে রয়েছে। এতে ফেসবুকের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান দলের প্রভাবের বিষয়ে অভিযোগ উঠছে।
গত অক্টোবরে রাতের খাবারের সময় বৈঠকে ট্রাম্প ও জাকারবার্গ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফেসবুক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য পিটার থিয়েল।
ফেসবুকের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক কী, তা নিয়ে এর মধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন।