তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রেষ্ঠ আইসিটি নারী উদ্যোক্তা হিসাবে পুরস্কার পেয়েছেন সহজ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির।
আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩য় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি ‘শ্রেষ্ঠ আইসিটি নারী উদ্যোক্তা’ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইসিটি প্রোমোশন শাখার আয়োজনে ৩য় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ এর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশিষ্টজনদের এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
মালিহা এম কাদির বাংলাদেশের বৃহৎ অনলাইন প্লাটফর্ম সহজ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যুক্তরাস্ট্রের স্মিথ কলেজ থেকে অর্থনীতি, কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ করার পরে তিনি কাজ করেছেন মরগান স্টানলি, নোকিয়া এবং ভিস্টাপ্রিন্টের মতো বৈশ্বিক সংস্থাগুলিতে।
২০১৪ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটালাইজড টিকিটিং সেবা ‘সহজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। সহজের মাধ্যমে ঘরে বসেই যে কেউ কিনতে পারছেন বাস-লঞ্চ সহ বিভিন্ন ইভেন্ট ও মুভি টিকেট। ২০১৮ সালের মার্চে সহজ আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সেবা চালু করে। যা সম্প্রতি পেয়েছে বিআরটিএ এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট।
সহজ ফুড সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহক ঘরে বসেই তার মুড অনুযায়ী অর্ডার দিতে পারছেন ফুড যা ডেলিভারি পাবেন তার দোরগোড়ায়। সহজ হয়ে উঠছে সুপার অ্যাপ; এক অ্যাপেই যেখানে পাওয়া যাচ্ছে অনেক সেবা। সহজ প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে সহজ ট্রাক যেখান থেকে বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে ট্রাক সার্ভিসের সেবাও গ্রহণ করতে পারেন ব্যবহারকারী। দেশীয় অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে নানামুখি সেবা নিয়ে সহজ ব্যবহারকারীদের জীবনকে করছে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়, সৃষ্টি করছে হাজারো কর্মসংস্থান, অবদান রাখছে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তার মূল শিরোনাম ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে ডিজিটাল বিপ্লবের ঘোষণা আসে। ২০১৮ সাল থেকে দিনটি ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।