ব্লু টুথের নানা সীমাবদ্ধতা কাটাতে এ প্রযুক্তিতে আনা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন। নতুন হালনাগাদটিকে ব্লু টুথ প্রযুক্তির ২০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন বলে দাবি করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে চলমান কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শোতে ব্লু টুথের নতুন সংস্করণটি উন্মোচন করা হয়েছে। খবর সিএনএন।
ব্লু টুথের বিদ্যমান মানকে বলা হয় ক্লাসিক। নতুন মানকে বলা হচ্ছে ব্লু টুথ এলই। লো এনার্জি বা কম বিদ্যুৎ খরচ করা অর্থে এলই অক্ষর দুটি ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লু টুথের মান নির্ধারকরা বলছেন, এলই সংস্করণটিতে বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হাই-কোয়ালিটি অডিও। অর্থাৎ ব্লু টুথে যুক্ত অডিও ডিভাইসে শব্দের মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হবে। এছাড়া একাধিক ডিভাইসে অডিও স্ট্রিমিং এবং হেয়ারিং এইড ফিচারটিও বেশ উন্নত করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তিটি ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফও বাড়িয়ে দেবে।
বলা হচ্ছে, ব্লু টুথ এলই নতুন ধরনের অডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে। নতুন সংস্করণটির অডিও অপশনে নতুন কিছু ফিচার ব্যবহারের সুযোগ থাকছে, এর মধ্যে অন্যতম মাল্টি স্ট্রিম অডিও। অর্থাৎ একটি অডিও সোর্স থেকে একই সময় একাধিক ডিভাইসে অডিও শেয়ার করা যাবে অনেক সহজে। তার মানে বন্ধু আড্ডায় একটি সেলফোনে গান বাজিয়ে সবাই নিজ নিজ অডিও ডিভাইসে তা শুনতে পারবে।
নতুন প্রযুক্তিতে ব্লু টুথ ব্রডকাস্ট করা যাবে। যেমন, একটি মল বা কনসার্ট হলে যে কাউকে কাঙ্ক্ষিত গান শোনানো যাবে, শুধু তার একটি হেডফোন থাকলেই চলবে। গত বছর অ্যাপল এ ধরনের মিউজিক শেয়ারের ফিচার এনেছে।
যারা কানে কম শোনের তাদের জন্য নতুন ব্লু টুথ প্রযুক্তি খুবই সহায়ক হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে পুরাতন মডেলের হেডফোন এ নতুন প্রযুক্তি সমর্থন করবে না। এলই অডিও কিন্তু সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমেও পাওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার নতুন হার্ডওয়্যার। এ বছরেরই শেষ নাগাদ হালনাগাদ হার্ডওয়্যার আসবে বলে জানানো হয়েছে।