ফোনের জন্য নিজস্ব প্রসেসর কিরিন চিপসেটের ব্যবহার ৭৫ শতাংশে নিয়ে গেছে হুয়াওয়ে। ডিভাইস উৎপাদনে ২০২০ সালের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে আত্ম-নির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্য তারা কিরিন চিপসেটের উৎপাদন বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানিজ সংবাদ মাধ্যম ডিজিসাইট।
আগে সাধারণত শুধু ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসগুলোয় নিজস্ব কিরিন প্রসেসর চিপসেট ব্যবহার করত প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখন বিভিন্ন রেঞ্জের ডিভাইসে কিরিন প্রসেসর ব্যবহার করছে হুয়াওয়ে। এর মধ্যে নোভা এবং ওয়াই সিরিজের মিড-রেঞ্জের ডিভাইসও রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে হুয়াওয়ে বৈশ্বিক বাজারে যত সংখ্যক স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে তার ২৪ শতাংশে ছিল কোয়ালকম প্রসেসর, যা গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকে কমে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে হুয়াওয়ে স্মার্টফোনে কোয়ালকমের প্রসেসরের অংশীদারিত্ব কমলেও তাইওয়ানভিত্তিক মিডিয়াটেকের প্রসেসরের অংশীদারিত্ব বেড়েছে। গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকে সরবরাহকৃত হুয়াওয়ের স্মার্টফোনের ১৬ দশমিক ৭ শতাংশে ব্যবহূত হয় মিডিয়াটেকের প্রসেসর, যা এর এক বছর আগের একই প্রান্তিকে ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধ ও নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের নিরাপত্তা ইস্যু কেন্দ্র করে হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে নিজেদের পণ্য উন্নয়নে মার্কিন প্রযুক্তি ক্রয় বন্ধ হয়ে যায় হুয়াওয়ের।
অন্যায্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে নিজেদের স্মার্টফোনে মার্কিন প্রযুক্তি বর্জনে অনেকটা নীরবে কাজ করছে হুয়াওয়ে। এর আগে ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে যাতে বেগ পেতে না হয়, সেজন্য নিজস্ব মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোয়ালকমের প্রসেসর ব্যবহার থেকে সরে আসছে হুয়াওয়ে।