মাইক্রোসফটের ঘোষণা অনুযায়ী, গত ১৪ জানুয়ারির পর উইন্ডোজ ৭ আর কোনো আপডেট পাচ্ছে না। মূলত উইন্ডোজ এক্সপির পর উইন্ডোজের ৭ সংস্করণটি বন্ধ করে দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সফটওয়্যার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। উইন্ডোজ ৭ পিসি কোনো ধরনের সফটওয়্যার আপডেট না পেলে নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি উইন্ডোজের সর্বশেষ ফিচার ব্যবহারের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হতে হবে। তবে চাইলে উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীরা তাদের পিসিকে উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করে নিতে পারবেন।
এজন্য আপনার এমন কনফিগারেশনের পিসি থাকতে হবে যা উইন্ডোজ ১০ সমর্থন করবে। উইন্ডোজ ৭ ব্যবহৃত পিসিটি যদি উইন্ডোজ ১০ সমর্থন করে, তবে কোনো ডাটা বা ফাইল হারানো ছাড়াই আপগ্রেড করে নেওয়া যাবে। উইন্ডোজ ১০ একটি ‘লিগ্যাসি মোড’ রেখেছে যা চলমান সব পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনকে নতুন সিস্টেমে সচল রাখবে। উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করে নিলে পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপডেট পেতে শুরু করবে।
পিসিতে কি উইন্ডোজ ১০ চলবে
প্রথমেই দেখতে হবে আপনার উইন্ডোজ ৭ চালিত কম্পিউটারটি উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম গ্রহণে সক্ষম কিনা। যেসব পিসি উইন্ডোজ ৭ গ্রহণ করতে সক্ষম, তার বেশিরভাগই উইন্ডোজ ১০ সমর্থন করে। তবে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করতে ন্যূনতম কনফিগার যা হতে পারে- কমপক্ষে ১ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর, র্যাম হতে হবে ১ গিগাবাইট (৩২ বিটের জন্য) এবং ২ গিগাবাইট (৬৪ বিটের জন্য), হার্ডড্রাইভ ন্যূনতম ৩২ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স কার্ড ডিরেক্টএক্স বা ডব্লিউডিডিএম ১.০ ড্রাইভারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, ডিসপ্লে ৮০০ বাই ৬০০ পিক্সেল। যদি পিসির কনফিগার সমর্থন করেন তবে ৬৪ বিট বেছে নেওয়াটাই ভালো হবে। এতে বেশি সফটওয়্যার ব্যবহার করার পাশাপাশি অধিক র্যাম থাকার সুবিধাও পুরোপুরি উপভোগ করা যাবে। উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করতে হার্ডওয়্যার চাহিদার সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। ইনস্টলার আপনাকে ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করার সুবিধাও দেবে।
উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল
অফিসিয়ালভাবে মাইক্রোসফটের অনলাইন স্টোর থেকে উইন্ডোজ ১০ পেতে পারেন। নতুন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার ক্ষেত্রে নতুন সিস্টেম গ্রহণের আগে প্রয়োজনীয় সব ডাটা সংরক্ষণ রাখা জরুরি। আর ইনস্টল হয়ে গেলে উইন্ডোজ ১০-এ অনায়াসে উপভোগ করতে পারবেন সব ফিচার।