অফিসে বা বাসায় বসে কাজ করছেন। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ই-মেইল আদান-প্রদান না করলেই নয়। তবে জানেন কি, প্রতিটি ই-মেইল বা ফেসবুক পোস্ট গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কতটা জন্য দায়ী!
বিশ্বে প্রতি মিনিটে পাঠানো ই-মেইল থেকে যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন হয়, সেটা ২১ হাজার কিলোগ্রাম কয়লা পোড়ানোর সমান। শুধু ই-মেইল’ই না; হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কিংবা ফেসবুকে ছবি বা কারও স্ট্যাটাসে লাইক এমনকি ইউটিউবে ভিডিও বা সিনেমা দেখলেও কার্বন নির্গমন হয়।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সঙ্কট আজ বিশ্বজুড়ে। তাপমাত্রা এতটাই দ্রুত গতিতে বাড়ছে যে, একদিন আমরা এই পৃথিবীতে থাকতে পারব না। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য যে শুধুমাত্র গাড়ি কিংবা ফ্যাক্টরির ধোঁয়াই দায়ী নয়, আমরা সবাই ডিজিটালিও এই পৃথিবীকে দূষিত করছি।
এক ব্রিটিশ এনার্জি কোম্পানির রিসার্চে জানা গেছে, ব্রিটেনে প্রতিদিন ৬ কোটি ৪০ লাখ অপ্রয়োজনীয় ইমেল করা হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই থ্যাঙ্ক ইউ মেইল।
ই-মেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে যা ক্ষতি হচ্ছে
১. এসব ই-মেইলের জন্য প্রতিবছর ১৬ হাজার ৪৩৩ টন কার্বন নির্গমন হয়।
২. ৩ হাজার ৩৩৪টি ডিজেলচালিত গাড়ি যে পরিমাণে কার্বন নির্গমন করে, শুধু ব্রিটেনে অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল থেকে ততটা কার্বন নির্গমন হচ্ছে।
৩.৩০ মিনিটের একটি অনলাইন ভিডিও দেখলে দেড় কিলোগ্রাম থেকেও বেশি কার্বন নির্গমন হয়।
৪. একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতি বছর ২৯৯ গ্রাম কার্বন নির্গমন করে থাকেন।
ফেসবুক বা ই-মেইল থেকে কিভাবে কার্বন নির্গমণ হয়?
১. আপনার পাঠানো প্রতিটি ই-মেইল বা ফেসবুক পোস্ট একটি ডেটা সেন্টারে গিয়ে স্টোর হয়। এই ডেটা সেন্টারের শক্তি লাখ লাখ পার্সোনাল কম্পিউটারের সমান।
২. এই ডেটা সেন্টারগুলো একটি ছোট শহরের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
৩. সারা বিশ্বে উত্পাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ এই ডেটা সেন্টারগুলো ব্যবহার করে।
৪. কয়লা অথবা গ্যাস দিয়ে বেশিরভাগ বিদ্যুতের উত্পাদন হয়, ফলে প্রতিদিন পাঠানো কোটি-কোটি ই-মেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে।