চলতি বছরের এপ্রিল-জুন নাগাদ নাসা নভোচারীদের স্পেসএক্সের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠাতে চান ইলন মাস্ক। সম্প্রতি সফলভাবে এক কার্গো লঞ্চ এস্কেপ ডেমোনেস্ট্রশনের পরে ওই তথ্য জানিয়েছেন স্পেসএক্স প্রধান।
কার্গো লঞ্চ এস্কেপ ডেমোনেস্ট্রশনটি যৌথভাবে সম্পন্ন করেছে নাসা ও স্পেসএক্স। নভোচারীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করার আগে মহাকাশ বাহনটির গুরুত্বপূর্ণ প্রধান একটি পরীক্ষা ছিল এটি। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে নভোচারীদের নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বাহনটির। — খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস’র।
সফলভাবে পরীক্ষাটি সম্পন্ন করার পর মাস্ক বলেছেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে শ্বিাস করি প্রথম প্রান্তিকেই সব হার্ডওয়্যার তৈরি হয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ, খুব বেশি হলে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে। আমাদের মনে হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রথম ক্রু লঞ্চ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
“নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামে যে অগ্রগতি হচ্ছে তা নিয়ে আমরা আনন্দিত এবং ‘ক্রু ড্রাগন’-এর পরবর্তী মাইলফলকের জন্য অধীর আগ্রহে অপক্ষো করছি।” – বলেছেন মাস্ক। রোববারের পরীক্ষায় ক্রু ড্রাগনকে উৎক্ষেপনের ১.৫ মিনিট পর নানাবিধ কাজ করিয়ে দেখা হয়েছে। বিভক্তিকরণ, ইঞ্জিন ফায়ারিং, প্যারাশ্যুট খোলা এবং অবতরণের মতো প্রধান প্রধান বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়েছে।
পরীক্ষা সম্পর্কে মাস্ক বলেছেন, “আমরা শুধু এতটুকু বলতে পারি যে এটি ছবির মতো নিখুঁত মিশন। প্রত্যাশা অনুযায়ী যতোটা ভালো হওয়ার কথা ছিল, ততোটাই ভালো হয়েছে। পুরো বিষয়টি নাসা ও স্পেসএক্স টিমের লক্ষ্য অর্জনে একাগ্রতা এবং পরিশ্রমের ফল।”
যৌথ টিমটি এখন পরীক্ষার পুরো ডেটা পর্যালোচনায় নামবে। ওই পর্যালোচনা নাসা নভোচারীদের স্পেসএক্স’র ডেমো-২ মিশন সম্পন্ন করার সময় প্রয়োজন পড়বে। নভোচারী ডৌগ হার্লি বলেছেন, “গত কয়েকদিন আমাদের জন্য অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা ছিল।”
“আমরা আশা করি যে সিস্টেমের প্রদর্শনী আজ আমরা দেখলাম সেটা যেন কখনো ব্যবহার করা না লাগে। কিন্তু ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়লে সিস্টেমটি প্রাণ বাঁচাবে। এই সাফল্যে আসতে নাসা ও স্পেসএক্সের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, আমরা মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” – এক নাসা বিবৃতিতে বলেছেন নভোচারী হার্লি।