মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চোখ কম রাঙাননি। তা পরোয়া না করে চীনের হুয়াওয়েকে আমন্ত্রণ জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ‘সীমিত’ আকারে হলেও এত এত নিরাপত্তা শঙ্কা উপেক্ষা করে যুক্তরাজ্যে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ঠাঁই পাচ্ছে হুয়াওয়ে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুয়াওয়ের উচ্চগতির ফাইভজি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার থেকে নিজেদের বিরত রাখবে না ব্রিটেন। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও¡ কিছু শর্ত সাপেক্ষে হুয়াওয়ের প্রতি নিজেদের আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি। এর ফলে ইউরোপে এখন আশার আলো দেখছে হুয়াওয়ে।
গতবছর হুয়াওয়েকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি অভিযোগ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে হুয়াওয়ের কাছ থেকে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি না কেনার জন্য চাপ দিতে থাকে।
গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আগামী বছরগুলোতে পরবর্তী প্রজন্মের ফাইভজি নেটওয়ার্কের কিছু অংশ স্থাপনে হুয়াওয়ের কাছ থেকে সাহায্য নেবে। যেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার না করতে চাপ দিচ্ছিল তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর এটি।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল সিকিউরটি কাউন্সিলের সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাক্ষাতের পর ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা দিয়েছে। এ সময় হুয়াওয়ের নাম নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি।
ট্রাম্প প্রাশাসন বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্তে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে।