ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ি ও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে তোপের মুখে রয়েছে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। ভুল বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়া এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ঝুঁকির কথা বলে এবার ফেসবুক ছাড়লেন বিখ্যাত মার্কিন লেখক স্টিফেন কিং। কোনো সেন্সর ছাড়া রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কারণে ফেসবুকের কঠোর সমালোচনাও করেছেন কিং।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক টুইটে লেখক জানান, ফেসবুক রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে মিথ্যা তথ্যের জোয়ারকে যেভাবে সমর্থন করেছে, তাতে অস্বস্তি বোধ করছেন তিনি। আর তাই তিনি ফেসবুক ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য সুরক্ষিত করতে ফেসবুকের সামর্থ্য কতটুকু, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন কিং। তবে আপাতত টুইটারে থাকছেন তা নিশ্চিত করেছেন এ থ্রিলার ও হরর ঔপন্যাসিক। কারণ সম্প্রতি টুইটার সব ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে।
মার্কিন হরর ঔপন্যাসিক স্টিফেন কিং (৭২) ৫০টিরও বেশি বই লিখেছেন। তার অনেক বই থেকে চলচ্চিত্র, টিভি সিরিজ, মিনি সিরিজ, কমিকস নির্মিত হয়েছে। কিংসের ফেসবুক অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৫৬ লাখ।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ধারণা প্রবল হচ্ছে যে ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করতে ফেসবুক সহায়তা করছে। বিনিময়ে ট্রাম্প আইনপ্রণেতা ও গণমাধ্যমের সমালোচনা থেকে ফেসবুককে রক্ষা করবেন।
শুরু থেকেই নিজেদের প্লাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে অনুমোদন দিয়ে সমালোচকদের তোপের মুখে আছে ফেসবুক। তবে বরাবরই নিজ অবস্থানে অটল থেকেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির সহপ্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ।
জায়ান্টটির নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনো তথ্য যাচাই ছাড়াই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ থাকছে। অর্থ দিলে বিজ্ঞাপনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটারদের মত প্রভাবিত করার সুযোগ করে দিচ্ছে ফেসবুক।
ফেসবুকের এসব নীতি সহজভাবে নিতে পারচ্ছেন না বরাবর চাঁচাছোলা কথা বলা স্টিফেন কিং। অবশেষে তিনি ফেসবুক ছেড়ে যাওয়ারই ঘোষণা দিলেন। যদিও এ তালিকায় বিখ্যাতদের মধ্যে তিনিই প্রথম নন।