গেইমিং ইন্ডাস্ট্রি জায়ান্ট খ্যাত নিনটেনডোর সিস্টেমে অনুপ্রবেশের দায় স্বীকার করেছেন রায়ান হার্নান্দেজ নামের এক ক্যালিফোর্নিয়ান হ্যাকার। পাশাপাশি ‘শিশু পর্নোগ্রাফি’ সংগ্রহে রাখার অভিযোগও স্বীকার করেছেন তিনি।
আদালত নথি বলছে, ২০১৬ সালে এক নিনটেনডো কর্মীর পরিচয় ও পদবী ফিশিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে সেটির মাধ্যমে কনসোল নির্মাতার গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তা ফাঁস করে দিয়েছিলেন ওই হ্যাকার। মার্চ ২০১৭’তে বাজারে এসেছিল নিনটেনডোর কনসোল ‘সুইচ’। অথচ বাজারে আসার আগেই ওই কনসোলের তথ্য সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। — খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তীতে এফবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ে মুচলেকা দিয়েছিলেন রায়ান। তারপরও ২০১৮ সালের জুনে আবারও নিনটেনডো সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করেন তিনি। পরে জুন ২০১৯-এ তার সব ডিভাইস জব্দ করে নিয়েছিল এফবিআই।
নিনটেনডো সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে গুটিকয়েক গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা ফাঁস করে দেওয়া এবং তথ্য হাতিয়ে নিতে পারার ব্যাপারটি ফলাও করে ডিসকর্ড ও টুইটারে বলে বেড়িয়েছেন রায়ান। এমনকি নিনটেনডো নেটওয়োর্কের সম্ভাব্য দুর্বলতা সম্পর্কেও নিজ কমিউনিটিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
ফেডারেল অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় তিন বছরের কারাদণ্ড, নিনটেনডো ও যৌন নীপিড়ক ইসুতে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৩২৩ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে হার্নান্দেজকে। আসছে ২১ এপ্রিল থেকে তার কারাভোগ শুরু হবে বলেও উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট। আদালতে দোষ স্বীকার করে নেওয়ার বিনিময়েই এতো কম সাজা পেয়েছেন তিনি।
মূল সাজার হিসেব করলে, শিশু পর্নোগ্রাফির জন্য ২০ বছর, আর হ্যাকিং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য আরও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হত হার্নান্দেজকে।